মহারাষ্ট্রের জন্য ‘উদার আর্থিক প্যাকেজ’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার। করোনা অতিমারির কারণে রাজ্যের আর্থিক হাল বেহাল হয়ে পড়েছে। সেকারণে কেন্দ্রের উচিত বিষয়টি উদারভাবে চিন্তা করা বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। দেশের আর্থিক বাজার মুম্বই করোনায় সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দীর্ঘসময় লকডাউনের ফলে। সে কারণে জরুরি ভিত্তিতে রাজ্য তথা মুম্বই নগরীর আর্থিক অবস্থা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সাহায্যের বিষয়টি অন্য মাত্রায় বিবেচনা করা জরুরি।
তিনি জানিয়েছেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউনের ফলে রাজ্যের রাজস্ব লোকসানের পরিমাণ এক লাখ চল্লিশ লাখ কোটি টাকা বা ৪০ শতাংশ। এ সময়ে শতাংশ জিডিপির সমতুল পরিমাণ ৯২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিলেও অবস্থা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। গৃহীত ঋণের মধ্যে ৫৪ হাজার কোটি টাকা মূলধনী ব্যয় হিসেবে আবশ্যক। ফলে প্রকল্প রূপায়ণে রাজ্যের ঘাটতির পরিমাণ একলাখ কোটি টাকা দাঁড়াচ্ছে।
এনসিপি নেতা রাজ্যের আর্থিক অস্বস্তি দূর করতে কয়েকটি প্রস্তাব দিয়েছেন। এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আর্থিক আইনাধীনে ঋণ গ্রহণের পরিমাণ বৃদ্ধির ক্ষমতা প্রদান করতে হবে। কিন্তু ঘাটতি ঋণের মাধ্যমে পূরণের ফলে যাতে রাজ্য ঋণের জালে না জড়িয়ে পড়ে সেটা দেখা জরুরি।
সরকারি ব্যয় কমানোর অন্য উপায় অবলম্বন করলে প্রচ্ছন্নভাবে আর্থিক মন্দা বৃদ্ধি পাবে বলেও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া, স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য সম্পর্কিত শিক্ষা এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবায় ব্যয় বৃদ্ধি জরুরি বলে জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় ক্ষুদ্র সঞ্চয় তহবিল ঋণের ক্ষেত্রে দুই বছরের মরেটরিয়াম ঘোষণার অনুরোধ করেছেন যাতে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হ্রাস সম্ভব হয়।
এছাড়া, ২০২০-২১ আর্থিক বর্ষে রাজ্যকে এক লাখ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদানেরও অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি জানান, রাজ্যসরকারগুলির আর্থিক অবস্থা চাঙ্গা করার জন্য কেন্দ্রীয় উদ্যোগে না দেখা গেলে পরবর্তীতে জাতীয় পরিকল্পনা রূপায়ণে রাজ্যের সহযোগিতা পাওয়া যাবে না বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।