শরদ পাওয়ার শুধু বাবা নন, আমার বসও : সুপ্রিয়া সুলে

সুপ্রিয়া সুলে ও অজিত পাওয়ার। (Photo: IANS)

দলের সুপ্রিমমা শরদ পাওয়ারের পাশে দাড়ালেন এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে- তিনি বলেন, প্রবীণ মারাঠা নেতা শরদ পাওয়ার শুধু আমার বাবা নন, তিনি আমার বস। আর বস সবসময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেন।

প্রধানমন্ত্রী মােদি এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে ‘একসঙ্গে কাজ করার’ প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করে দেওয়া হয়েছে। এনসিপি নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে তাঁর প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানান, দেশের প্রধানমন্ত্রীর মন উদার, তিনি এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারকে একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু আমার বাবা তাঁকে বিনীতভাবে না বলে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম না। প্রধানমন্ত্রী মােদি ও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের মধ্যে বৈঠক হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা যে তিনি এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মহারাষ্ট্রের রাজনীতির ঐতিহ্য, মতাদর্শগত পার্থক্য থাকলেও রাজনৈতিক নেতৃত্বদের মধ্যে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ভালাে রাখাটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক।


শরদ পাওয়ার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মােদি একসঙ্গে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু আমি বিনীতভাবে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিয়েছি। আমি তাঁকে বলেছি, আমাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল, কিন্তু আমার পক্ষে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়’।

মােদি প্রশাসন তাঁকে রাষ্ট্রপতি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল বলে রিপাের্ট প্রকাশ হয়েছে, তা খারিজ করে দিয়ে শরদ পাওয়ার বলেন, ‘মােদি প্রশাসনে সুপ্রিয়াকে মন্ত্রী করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল’।

দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করার পর হঠাৎ প্রত্যাবর্তন তারপরও অজিত পাওয়ারকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘দলের তরফে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্ধব ঠাকরে যখন শপথ গ্রহণ করেছিলেন তখন কিন্তু ও শপথ নেয়নি। আমাদের যৌথ পরিবার। আমার পাঁচ ভাই রয়েছে। ও আমার থেকে বড়। আমার ছেলে ভুল করলে, আমার অধিকার রয়েছে তার কান ধরে মুলে দেওয়ার। কিন্তু অজিত দাদা আমার থেকে বড়, ওর আমার কান ধরে টানার অধিকার রয়েছে’। ।

অজিত পাওয়ার দল ছেড়ে বিজেপিতে যােগ দেওয়ার পর হতাশা প্রকাশ করে সুপ্রিয়া সুলে হােয়াটসঅ্যাপ স্টাটাসে লিখেছিলেন, ‘দল ও পরিবারে ফাটল ধরল’। তিনি বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা যদি সকলে পাশে না থাকে সেক্ষেত্রে কে থাকবে। ওটা খারাপ স্বপ্ন ছিল, আপনি চোখ খুললে বাজে স্বপ্নটা ভেঙে যাবে’।

মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পুরাে দক্ষতা রয়েছে, ওঁর চিন্তাভাবনা স্পষ্ট, কোনও ধন্দের জায়গা নেই। ঠাকরে প্রয়াণের পর উদ্ধব ঠাকরের ওপর কেউ ভরসা করতে পারেনি। প্রত্যেকে ধরে নিয়েছিলেন শিবসেনা দল অস্তিত্ব সঙ্কটে ভুগবে। কিন্তু আজ তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছে’।