উনিশে হয়নি, চব্বিশে ঠিক হবে। দাদা ঠিক এবার বিধায়ক হবে। সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন হাজার হাজার সমর্থক। ভোট শেষ হতেই বিজয় মিছিলে মেতে উঠেছেন তাঁরা। এমনকী প্রিয় দাদার নামে বিজয়ী পোস্টারও লাগিয়েছেন। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের পুনের। আর এই দাদা হলেন শরদ পাওয়ারের এনসিপি-র বিধায়ক প্রার্থী শচীন দোদকে।
বুধবার ভোট শেষ হতেই বিজয় মিছিলে মেতে ওঠেন শচীন। তাঁর সমর্থকরা তাঁকে বসিয়ে এবং বাদ্যযন্ত্র সহ একটি বিজয় মিছিল বের করেন। শচীন দোদকে খড়কওয়াসলা আসনে বিজেপির ভীমরাও তাপকির এবং এমএনএস-এর ময়ুরেশ ওয়াঞ্জালের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনটি বিজেপির ভীমরাও তাপকিকের দখলে রয়েছে।
শচীন ২০১ ৯সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, কিন্তু মাত্র ২৫০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। এই নির্বাচনে এমএনএস প্রাক্তন বিধায়ক রমেশ ভাঞ্জলের ছেলে ময়ূরেশকে প্রার্থী করেছিল। এটা স্পষ্ট যে, লড়াইটা কঠিন হতে চলেছে। তবে শচীন ডোডকে এতটাই আত্মবিশ্বাসী যে তিনি ইতিমধ্যেই মিছিল বের করেছেন।
তাঁর জয়ের পোস্টারও লাগানো হয়েছে এলাকায়। একটি র্যালি বের করা হয়। সেই মিছিলের ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালেও, শচীনের সমর্থকরা ফলাফলের আগেও তাঁর জয়কে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টার লাগিয়েছিল। তবে সেবার আড়াই হাজার ভোটের সামান্য ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি। এবার অবশ্য শচীন ও তাঁর সমর্থকরা জয়ের বিষয়ে আশাবাদী
বুধবার মহারাষ্ট্রের ২৮৮ আসনে বিধানসভা নির্বাচন হয়। নির্বাচন কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, বিকেল ৫টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়েছে ৫৮.২২ শতাংশ। মাওবাদী অধ্যুষিত গড়চিরোলি অঞ্চলে ৬৯.৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। মহারাষ্ট্রে মোট ভোটারের সংখ্যা – ৯.৭০ কোটি, এর মধ্যে ৫.২২ কোটি পুরুষ এবং ৪.৪৯ কোটি মহিলা। ভোটার সংখ্যায় পুনে জেলা শীর্ষে রয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে, উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ও অজিত পাওয়ার এবং শিবসেনা (উদ্ধবপন্থী) নেতা আদিত্য ঠাকরের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বসহ ৪,১৩৬ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে বুধবার। ভোট গণনা হবে আগামী ২৩ নভেম্বর।
এবারের নির্বাচনে লড়াই দুটি জোটের মধ্যে – মহা বিকাশ অঘাদি (এমভিএ) এবং শাসক মহায়ুতি। এমভিএ-তে আছে কংগ্রেস, শিব সেনা (উদ্ধব ঠাকরে) এবং ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (শরদ পাওয়ার)। মহায়ুতিতে আছে – একনাথ শিন্ডের শিব সেনা, বিজেপি এবং অজির পাওয়ারের এনসিপি।