জরুরি বৈঠক ডাকলেন পাওয়ার

শরদ পাওয়ার (File Photo: IANS)

কমল নাথের নেতৃত্বাধীন মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকার যখন টালমাটাল অবস্থার মধ্যে, তখন বুধবার বিকেলে মহারাষ্ট্রের সমস্ত এনসিপি বিধায়কদের বৈঠকে ডাকলেন দলের প্রধান শরদ গােবিন্দ পাওয়ার । এই বৈঠকের খবর চাউর হতেই রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি মধ্যপ্রদেশের মতাে মহারাষ্ট্রেও সরকার পড়ে যাওয়ার অবস্থা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন মারাঠা স্ট্রংম্যান?

কংগ্রেস অবশ্য সেই আশঙ্কার কথা স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে। এনসিপির তরফে বলা হয়েছে, রাজ্যসভা ভােটের জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আগামী মার্চ রাজ্যসভার ভােট। মহারাষ্ট্র থেকে সাতটি আসন ফাঁকা হচ্ছে। এক বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আমরা এবার রাজ্যসভার দুটি আসনে প্রার্থী দেব। একটিতে পাওয়ার সাহেব অন্যটিতে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফৌজিয়া খান। আজ, বুধবার দুপুরের পর মহারাষ্ট্র বিধানসভায় মনােনয়ন জমা দেবেন দু’জন। তাঁর কথায়, এই বৈঠক আগেই ডাকা ছিল। এক কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, মহারাষ্ট্রের সরকার নিয়ে কোনও ভয় নেই। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এনসিপি বিধায়কদের নিয়ে দলের প্রধাণ বৈঠক ডেকেছেন। এর সঙ্গে মধ্যপ্রদেশের যােগ খোঁজার কোনও মানেই নেই।


কয়েক মাস আগে সারা দেশ দেখেছিল মহারাষ্ট্রের মহানাটক। বর্ষীয়ান শরদ পাওয়ারের মাস্টারস্ট্রোকে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহদের। তবে মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতি টালমাটাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি রাজ্যের সরকার নিয়েই প্রশ্ন উঠে যায়।

গতকালই অন্তর্বর্তী কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি বৈঠক করেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অশােক গেহলটের সঙ্গে। অনেকের মতে, মধ্যপ্রদেশে যেমন কমল নাথ বনাম জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার ইগাের লড়াইয়ের ফলে আজকে এই অবস্থা, রাজস্থানেও তেমন বর্ষীয়ান গেহলটের সঙ্গে তরুণ নেতা শচীন পাইলটের একেবারেই বনিবনা নেই। অনেকে আন্দাজ করতে শুরু করেন, এই বুঝি মধ্যপ্রদেশের পর ‘অপারেশন লােটাস’ মরুরাজ্যে হতে চলেছে। সেই সম্ভাবনার তালিকায় ছিল মহারাষ্ট্র সরকারও।