একাসনে মােদির সঙ্গে দাদি। নাগরিকত্ব সংসশােধনী আইন বা সিএএ বিরােধী প্রতিবাদ আন্দোলনে সারা দেশকে আলােড়িত করেছিল বলিরেখাঙ্কিত একটা মুখ। ৮২ বছরের অশীতিপর শাহিন বাগের ‘দাদি’ বিলকিস। তিনিই সেই সময় হয়ে উঠেছিলেন সারা দেশের সিএএ বিরােধীতার মুখ। সেই দাদি’ই এবার ঢুকে পড়লেন টাইম-এর বিশ্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায়।
সম্প্রতি টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশ করেছে ২০২০-র প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা। বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করা এই তালিকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি, আয়ুস্মান খুরানাদের মতো থেকে বলিসেলেবদের সঙ্গে জায়গা ভাগ করে নিয়েছেন সিএএ-বিরােধী প্রতিবাদী মুখ বিলকিসও।
তালিকার লিডার্স বিভাগে স্থান পাওয়া নরেন্দ্র দামােদর দাস মােদি যদিও ২০১৭-তেওঁ টাইম-এর তালিকাতেও ছিলেন। এবার নতুন অভিনয়ের জন্য আয়ুস্মান খুরানা। এছাড়া আইকন হিসেবে উঠে এসেছে শাহিন বাগের দাদি’র নামও। দেশ কাপানাে সিএএ-বিরােধী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছিল দিল্লির শাহিন বাগ।
রাজধানী দিল্লির ডিসেম্বরের হাড়কাঁপানাে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে একশাে দিনেরও বেশি ধর্না, প্রতিবাদ চালিয়ে গিয়েছিলেন বহু মহিলা। সেই আন্দোলনের একেবারে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বিলকিস। বয়সের ভার কোনও বাধা হয়নি তাঁর। এক হাতে প্রার্থনার মালা এবং অন্য হাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে বিলকিসের ছবি গােটা দেশে পরিচিতি পেয়েছিল সেই সময়ই।
এরপর গােটা দেশের কাছে শাহিন বাগের ‘দাদি’ নামেই পরিচিতি পান বিলকিস। সেইসময় বিলকিস বলেছিলেন, এই প্রতিবাদ শুধু মুসলিমদের নয়। নানা ধর্মের বহু মানুষ আসছেন, আন্দোলনকারীদের খাবার দিচ্ছেন। ” এই আন্দোলনই বিলকিসের মতাে প্রতিবাদীকে নরেন্দ্র মােদি, ডােনাল্ড ট্রাম্প, শি জিনপিং’দের সঙ্গে এক আসনে বসিয়েছে।
এই তালিকায় আরও রয়েছেন গুগল সিইও সুন্দর পিচাই, মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী কমলা হরিস এবং অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্ত।