শাহিন বাগ একটা ভাবনা। আর এটা বুলেটপ্রুফ। শাহিন বাগের আন্দোলন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণের পর একথা বললেন আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী এক মহিলা। বুঝিয়ে দিলেন, বিক্ষোভ প্রদর্শনের স্থল পরিবর্তন হতে পারে, তবে আন্দোলন থামার কোনও প্রশ্নই নেই।
শীর্ষ আদালত আন্দোলনকারীদের অধিকারকে সমর্থন করলেও সুষ্ঠু যানচলাচলেও গুরুত্ব দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখার পরবর্তী বক্তা হিসেবে ঘােষণা করা হয়েছে রুবির নাম। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেছেন, আমরা জানি, সুপ্রিম কোর্ট মধ্যস্থতাকারীদের বলেছে, আমাদের কাছে এসে কথা বলতে। তবে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি। আমরা চাই এই আইন বাতিল হোক।
কালাে হিজাব পরা মহিলা আন্দোলনকারী গেয়ে ওঠেন, ‘হাম ওয়াতন পে তন মন লুটানে পে হায়, হামকো মালুম হায় হাম নিশানে পে হ্যায়।’ তাঁর তৈরি করা এই গান শুনে হাততালি ও চিৎকারে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। স্পষ্ট হয়ে যায় একটাই বার্তা, জায়গা পরিবর্তন হলেও আন্দোলন এখনই থামছে না।
আন্দোলনের অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, সুপ্রিম কোর্ট সরকারের কোনও সরাসরি পদক্ষেপে সম্মতি দেয়নি। আন্দোলনের জন্য দিল্লি পুলিশকে বিকল্প জায়গা দেখতে বলা হয়েছে। আন্দোলনকারী মহিলারা জানিয়েছে, তাঁরা নিজেদের শর্তে আলােচনা হলে তাতে রাজি আছে।
প্রবীণ আন্দোলনকারী বিলকিস বানােবলেছেন, ‘ইয়াহাঁ মকান নহি বানায়া হয়। জরুরি অবস্থা ও অ্যাম্বুলান্সের জন্য আমরা সবসময় রাস্তা ছেড়ে দিয়েছি। আলােচনায় রাজি আছি।’ শাহিন বাগের আন্দোলনকে কি অন্যত্র সরানাে সম্ভব, যেখানে জনসাধারণের প্রতিবাদ দেখানাের মৌলিক অধিকারও সুরক্ষিত হবে আবার যানবাহ চলাচলের রাস্তাও খােলা থাকবে? এই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার জন্য উদ্যোগী হয়ে এবার মধ্যস্থতাকারী নিয়ােগ করল সুপ্রিম কোর্ট।
বর্ষীয়ান আইনজীবী সঞ্জয় হেগড়ে ও আইনজীবী সানা রামচন্দ্রন হবেন প্রধান মধ্যস্থতাকারী। তাঁদের সহায়তা করবেন প্রাক্তন তথ্য কমিশনার ওয়াজাত হবিবুল্লাহ। তাঁরা শাহিন বাগে গিয়ে আলােচনা করবেন প্রতিবাদীদের সঙ্গে, জানবেন তাঁদের অভিমত, তারপরে শীর্ষ আদালতকে জানাবেন সেই তথ্য।