দিল্লি, ১ জুন– ভোটের আগে ও পরে প্রতিটি দলের পাখির চোখ থাকে বুথফেরত সমীক্ষা৷ সেই বুথ ফেরত সমীক্ষাকেই হাতিয়ার করে এবার মোটির কটাক্ষ কংগ্রেসকে৷
পাশাপাশি রাহুল গান্ধিকে নিশানা করে অমিত শাহ বলেন, ‘রাহুল গান্ধি দায়িত্বে আসার পর থেকেই কংগ্রেসের এই পতন৷ কখনও শীর্ষ আদালতের নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলছে, নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলছে, সংসদে বিতর্কে অংশ নেওয়ার বদলে পালিয়ে যাওয়া, এজেন্সি নিয়ে প্রশ্ন তোলা এগুলো ওদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে৷ আমি কংগ্রেস নেতাদের বার্তা দিতে চাই, মুখ ফিরিয়ে পালিয়ে গিয়ে লাভ কিছু হয় না৷ যদি হার হয়, তবে সামনে দাঁড়িয়ে এই তার মোকাবিলা করতে হবে৷ নিজেদের হার নিয়ে আত্মচিন্তন করা উচিৎ এবং ঘুরে দাঁড়ানো উচিৎ৷ বিজেপি এর আগে বহু নির্বাচন হেরেছে কিন্ত্ত কখনও এভাবে পালিয়ে যায়নি৷ আমি বিশ্বাস করি এই বুথফেরত সমীক্ষা এনডিএ ৪০০ পারেরই পূর্বাভাষ দেবে৷’
এবার অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে সংবাদ মাধ্যমগুলির বিতর্কে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস৷ আর এতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দাবি, ‘কংগ্রেস বুঝে গিয়েছে নির্বাচনের ফল প্রকাশ্যে আসার পর ওদের হার নিশ্চিত৷ তাই এই নেতিবাচক মানসিকতা৷ যার ফলেই আলোচনা থেকে পালাতে চাইছে ওরা৷’
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অমিত শাহ বলেন, ‘কংগ্রেস যে বুথফেরত সমীক্ষা সংক্রান্ত আলোচনা বহিষ্কার করবে এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই৷ দীর্ঘ দিন ধরেই নেতিবাচক মানসিকতায় রয়েছে কংগ্রেস৷ পুরো নির্বাচনে ওরা বলে গিয়েছে, ওরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে৷ কিন্ত্ত বাস্তবে কংগ্রেস যে বিপুল ভোটে হারতে চলে তার আভাস ওরা পেয়ে গিয়েছে৷ এখন আর কোন মুখে জনতা ও সংবাদমাধ্যমের সামনে যাবে? তাই ওদের দাবি, বুথফেরত সমীক্ষা ভিত্তিহীন৷ প্রতিবার ওরা বুথফেরত সমীক্ষায় অংশ নেয়৷ কিন্ত্ত এবার না নেওয়ার কারণ ওরা বুঝে গিয়েছে হারছে৷ তাই প্রশ্নের মুখে পড়তে চাইছে না৷’