ত্রিপুরা থেকে আরও ৭ জন বাংলাদেশি, তিনজন রোহিঙ্গা ও এক ভারতীয় দালালকে আটক করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, কাজের সন্ধানে চেন্নাই যাওয়ার চেষ্টা করায় ৭ বাংলাদেশিকে দক্ষিণ ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুর থেকে জিআরপি কর্মীরা গ্রেপ্তার করেছে। গত সাড়ে তিন মাসে ত্রিপুরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৭০ জন বাংলাদেশি, ৬৩ জন রোহিঙ্গাকে।
বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে চারজন নাবালক এবং বাকি দু’জন স্বামী-স্ত্রী। আরেকজন মহম্মদ হাফিজুল পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার বাসিন্দা। রুবেল শেখ ও সুরাইয়া নামে ওই বাংলাদেশি দম্পতির চেন্নাই যাওয়ার কথা ছিল। তাঁরা সবাই দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা জানিয়েছে, সকলেই বাংলাদেশের খুলনা জেলার বাসিন্দা। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রাধাকিশোরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে সিপাহীজলা জেলার বিওপি কমলাসাগরের বিএসএফ জওয়ানরা এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছেন। আটক বাংলাদেশি নাগরিক বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা। অপর এক অভিযানে উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগর সেক্টরে এক মহিলা-সহ তিন রোহিঙ্গা অভিবাসীকে আটক করে বিএসএফ জওয়ানরা। অনুপ্রবেশকারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
গত সাড়ে তিন মাসে জিআরপি, বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং ত্রিপুরা পুলিশ অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ৪৭০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি নাগরিক এবং ৬৩ জনেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আগরতলা রেলওয়ে স্টেশন এবং ত্রিপুরার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে পালিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছে।
২০১৭ সাল থেকে মায়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১০ লক্ষেরও বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে বসবাস করছে। বিএসএফ আধিকারিকরা জানান, জুন-জুলাইয়ে বাংলাদেশে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর অনুপ্রবেশ ঠেকাতে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিএসএফ।
ভারতের পাঁচটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ (২২১৬ কিলোমিটার), ত্রিপুরা (৮৫৬ কিলোমিটার), মেঘালয় (৪৪৩ কিলোমিটার), মিজোরাম (৩১৮ কিলোমিটার) ও অসম (২৬৩ কিলোমিটার) বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নেয়।