দিল্লি, ৯ মে– ২০২০ সালে করোনার প্রকোপের পর অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে অ্যাস্ট্রোজেনেকা এজেডডি১২২২ ভ্যাকসিন তৈরি করেছিল৷ সেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা নিয়ে বিস্তর জল্পনা৷ কোভিড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বিশ্বজুডে় চর্চা৷ বিতর্কের মাঝেই কোভিড টিকা ভ্যাক্সজেভরিয়া বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণা করেছে সংস্থা৷ বিষয়টি নিয়ে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট বলেছেন, ‘শুরু থেকেই, আমরা ২০২১ সালের প্যাকেজিং এর ভিতরে বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেমন থ্রম্বোসিস, থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিন্ড্রোমের কথা জানিয়েছি৷’
বিশ্ববাজার থেকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকা তার ‘ভ্যাক্সজেভরিয়া’ কোভিড টিকা তুলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে৷ এদিকে, ভারত সহ বহু দেশের জন্য এই ভ্যাকসিন তৈরি ও সরবরাহ করেছিল পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট৷ তারা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ ব্রিটিশ ওষুধ নির্মাতা সংস্থার তরফে লাইসেন্স পেয়েছিল এই ওষুধ তৈরির জন্য৷সম্প্রতি আদালতে চলা একটি মামলার প্রেক্ষিতে অ্যাস্ট্রেজেনেকা স্বীকার করেছিল কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি রয়েছে৷ টিকাপ্রাপকদের মধ্যে থ্রম্বোসিস বা থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয় এতে৷ এই স্বীকারোক্তির পরই আতঙ্ক তৈরি হয়৷ তার ঠিক পর পরই অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড বন্ধ করার ঘোষণায় হইচই পডে় গিয়েছে৷
ভারতের সেরামের দাবি, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসের পর থেকে টিকা উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের বক্তব্য, এই টিকার বর্তমানে আর কোও চাহিদা নেই দেশে৷ সেরাম ইনস্টিটিউটের এক মুখপাত্র বলেন, ‘২০২১ এবং ২০২২ সালে করোনার এই ভ্যাকসিনের চাহিদা ভারতে সবচেয়ে বেশি ছিল৷ একের পর এক করোনার ভ্যারিয়ান্ট ছডি়য়ে পড়ায় টিকার উৎপাদনও বাড়ানো হয়েছিল এ দেশে৷ ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে যদিও চাহিদা কমে যায়৷ ফলে অতিরিক্ত ডোজের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়৷