প্রয়াত জম্মু কাশ্মীরের বিজেপি নেতা ও বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং রানা

বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা ও বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং রানা। এএনআই

প্রবীণ বিজেপি নেতা ও বিধায়ক দেবেন্দ্র সিং রানা প্রয়াত। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তিনি ফরিদাবাদের একটি হাসপাতালে প্রয়াত হয়েছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির জম্মু ও কাশ্মীরের নাগরোটা আসনের বিধায়ক ছিলেন। দেবেন্দ্র সিং-এর আরও একটি বিশেষ পরিচয় হল তিনি কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) এবং ভূবিজ্ঞান প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং-এর ছোট ভাই।

দেবেন্দ্র সিং রানা ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি বিজেপির টিকিটে নগরোটা আসনটি ৩০ হাজার ৪৭২ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিলেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনসি-র জোগিন্দর সিং পেয়েছিলেন ১৭ হাজার ৬৪১ ভোট। ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে রানা তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবধানে জয়ী হন। ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অন্য কোনও প্রার্থী তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে এত বড় জয় অর্জন করতে পারেন নি।

প্রসঙ্গত বর্তমানে ৯০ সদস্যের জম্মু ও কাশ্মীর বিধানসভায় এনসি-র ৪২টি, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র ২৯টি, কংগ্রেসের ৬টি, পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (পিডিপি)-র ৩টি, সিপিআই-এম-এর ১টি, আম আদমি পার্টির (এএপি) ১টি, পিপলস কনফারেন্সের (পিসি) ১টি এবং নির্দল প্রার্থীদের ৭টি আসন রয়েছে। ৭ জন স্বতন্ত্র বিধায়কের মধ্যে ছয়জন এনসিতে যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস, ৬ জন নির্দল, একজন কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া-মার্ক্সবাদী (সিপিআই-এম) এবং একজন আপ প্রার্থীর সমর্থনে এনসি ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে সরকার গঠন করেছে। কংগ্রেস, সিপিআই-এম এবং আম আদমি পার্টি (এএপি) সরকারে যোগ দেয়নি। কংগ্রেস জানিয়েছে, রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত তারা জম্মু ও কাশ্মীর সরকারে যোগ দেবে না।


এদিকে ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে জম্মু ও কাশ্মীর মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে রাজ্যের মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। ওমর আবদুল্লাহ দিল্লি গিয়ে এই প্রস্তাবের একটি অনুলিপি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে জমা দেন। আগামী ৪ নভেম্বর থেকে জম্মু-কাশ্মীরের বিধানসভা অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। ন্যাশনাল কনফারেন্স সেই অধিবেশনে ৩৭০ ধারা পুনরুদ্ধারের জন্য একটি প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।