কড়া ভাষার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে টুইট করে সাবলীল ভাষায় পাল্টা জবাব দিল ওয়াশিংটন পােস্ট– স্পষ্ট জানিয়ে দিল, ‘ওয়াশিংটন পােস্টের মালিক জেফ বিজস কোনওদিন সাংবাদিকদেরকে লেখার গতিপ্রকৃতি কি হবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেন না। ভারত সফরে আসা ওয়াশিংটন পােস্টের মালিকের সমালােচনায় মুখর হয়েছিলেন শাসক দলের নেতাগণ।
বিজেপি নেতা বিজয় চৌওথইওয়ালে অভিযােগ করে বলেছিলেন, জেফ বিজসের সংবাদপত্র সংস্থা ওয়াশিংটন পােস্টের সম্পাদকীয় নীতি সাংঘাতিক রকমের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। মােদি প্রশাসনের তরফে সপ্তাহের গােড়ার দিকে ভারত সফরে আসা জেফ বিজসের কড়া সমালােচনা করা হয়।
ওয়াশিংটন পােস্টের সিনিয়র এডিটর এলি লােপেজ টুইট করে লেখেন, ‘ব্যাখ্যা করা হচ্ছে– জেফ বিজস কোনওদিন ওয়াশিংটং পােস্টের সাংবাদিকদেরকে লেখার গতিপ্রকৃতি কি হবে তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেন না। নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা বলতে এটা কখনােই নয় যে কোনও দেশের ক্ষমতাসীন সরকারকে মুগ্ধ করতে হবে- আমাদের প্রতিনিধি ও কলম লেখকদের কাজ ভারতের গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের সঙ্গে মানানসই হওয়ার কোনও প্রশ্ন ওঠে না’।
বিজসের লেখা পােস্টে বিদ্রুপকরে ভারতীয় জনতা পার্টির বিদেশনীতি নির্ধারক কমিটির ইনচার্জ টুইট করে লেখেন, ‘আপনি ভারত সম্পর্কে যা লিখেছেন, সেগুলাে ওয়াশিংটন ডিসি’তে আপনার সংবাদপত্রের কর্মীদের বলুন’। জেফ বিজস ভারতবর্ষ সম্পর্কে লিখতে গিয়ে পােস্টে লিখেছেন, ‘ভারতবর্ষ মানে গণতন্ত্র, শক্তি ও গতিশীলতা’
জম্মু ও কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করা, নাগরিকত্ব আইন সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মােদি প্রশাসনের কড়া সমালােচনা করে ওয়াশিংটন পােস্টে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রবন্ধ লেখা হয়েছে।