• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ বাদের আগে তারিখ নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি– সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জমা পডে়ছিল শীর্ষ আদালতে৷ সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের তরফে রাখা হল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন৷ বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, “এটাই তো প্রশ্ন”৷ শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়,

দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি– সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার জন্য আবেদন জমা পডে়ছিল শীর্ষ আদালতে৷ সেই মামলার শুনানিতেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চের তরফে রাখা হল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন৷ বিচারপতির এই প্রশ্নের জবাবে সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, “এটাই তো প্রশ্ন”৷

শুক্রবার শীর্ষ আদালতের তরফে জানতে চাওয়া হয়, সংবিধান গ্রহণের তারিখ অর্থাৎ ১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর তারিখটি অপরিবর্তিত রেখে কি সংবিধানের প্রস্তাবনায় কোনও পরিবর্তন আনা সম্ভব? রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যন স্বামী ও আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন সংবিধানের প্রস্তাবনা থেকে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক- এই দুটি শব্দ বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন৷

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, “শিক্ষাগত কারণে, সংবিধানের প্রস্তাবনায়, যেখানে তারিখ উল্লেখিত রয়েছে, তাতে তারিখ পরিবর্তন না করে কি অন্য কোনও শব্দ পরিবর্তন বা সংশোধন করা যায়? যদি সমস্যা না থাকে, তবে সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিবর্তন আনাই যেতে পারে৷ এতে কোনও সমস্যা নেই৷’

এরপরে বিচারপতি দত্ত বলেন, “আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনাই আমার দেখা একমাত্র প্রস্তাবনা যেখানে তারিখের উল্লেখ রয়েছে৷ আগে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ-এই দুটি শব্দ ছিল না সংবিধানে৷” আইনজীবী বিষ্ণু শঙ্কর জৈন জানান, ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনায় তারিখের উল্লেখ রয়েছে, তাই আলোচনা ছাড়া এর পরিবর্তন সম্ভব নয়৷ তাঁকে থামিয়ে সুব্রহ্মণ্যন স্বামী বলেন, “জরুরি অবস্থার সময়কালে (১৯৭৫-৭৭) ৪২ তম সংশোধনী আইন পাশ করা হয়েছিল৷” সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, এই বিষয়ে আলোচনার প্রয়োজন৷ আগামী ২৯ এপ্রিল সংবিধানের প্রস্তাবনায় পরিবর্তন দুটি পিটিশনের শুনানি ধার্য করা হয়েছে৷

প্রসঙ্গত, সংবিধানের প্রস্তাবনায় আগে সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শব্দ দুটি ছিল না৷ ১৯৭৬ সালে ইন্দিরা গান্ধির সরকার ৪২ তম সংশোধনের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক শব্দ দুটিকে যোগ করা হয়৷ সংবিধানের প্রস্তাবনা “সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র” থেকে বদলে “সার্বভৌম, সমাজতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র” করা হয়৷এই পরিবর্তনকে চ্যালেঞ্জ করেই রাজ্যসভার সাংসদ দাবি করেছিলেন যে প্রস্তাবনা পরিবর্তন, সংশোধন বা খারিজ করা যায় না৷