• facebook
  • twitter
Monday, 16 September, 2024

ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি চালু হওয়া দরকার, তাহলে মানুষের মধ্যে বিভেদ কমবে : মোদি

দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি স্পষ্ট বলেন, ‘যে দেওয়ানি বিধি এতদিন দেশে চলছে, তা সাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ নয়। ৭৫ বছর ধরে দেশ সাম্প্রদায়িক দেওয়ানি বিধি দেখে এসেছে।’ লালকেল্লা থেকে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শীর্ষ আদালতও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে একাধিকবার

দেশে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে ৭৮ তম স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মোদি স্পষ্ট বলেন, ‘যে দেওয়ানি বিধি এতদিন দেশে চলছে, তা সাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ নয়। ৭৫ বছর ধরে দেশ সাম্প্রদায়িক দেওয়ানি বিধি দেখে এসেছে।’

লালকেল্লা থেকে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের শীর্ষ আদালতও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে একাধিকবার আলোচনা করেছে,  নির্দেশ দিয়েছে। ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি তৈরি সংবিধান রচয়িতাদের স্বপ্ন ছিল। যে আইনে ধর্মের ভিত্তিতে দেশকে ভাগ করা হয়েছে, যে আইন উচ্চ বর্ণ-নিম্ন বর্ণের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করে, আধুনিক সমাজে সেই আইনের কোনও জায়গা নেই।’ প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে  এদিন আরও বলেন, ‘একটি সাম্প্রদায়িক দেওয়ানি বিধিতে ৭৫ বছর কাটিয়েছি আমরা। এবার একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেওয়ানি বিধি চালু হওয়া দরকার। তাহলে মানুষের মধ্যে বিভেদ কমবে।’

লালকেল্লায় মোসওয়াল করলেন এক দেশ এক ভোটের পক্ষে। মোদি বলেন, ‘আজ দেশে যে কোনও উন্নয়নমূলক কর্মসূচি নির্বাচনের জন্য থেমে যায়। প্রতি তিন মাস অন্তর কোথাও না কোথাও ভোট হচ্ছে। কাজ শুরু হয়, ভোট আসে তারপর তা থেমে যায়। বারবার নির্বাচন উন্নয়নের পথে বাধা নিয়ে আসে।’ মোদি বলেন, ‘আমাদের অবিলম্বে এক দেশে এক নির্বাচনে পথে এগিয়ে যাওয়া উচিত। আমি সব রাজনৈতিক দলকে অনুরোধ করব এই উদ্দেশে এগিয়ে আসুন। সরকার ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে। একটি কমিশন তৈরি হয়েছে, যা ভালো রিপোর্ট দিয়েছে।’

স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়েও মন্তব্যে করেছেন মোদি। বলেন, ‘যারা নারীদের বিরুদ্ধে জঘন্য কাজ করে তাদের কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিত। দোষীদের মনে ভীতি তৈরি করতে ববে। নারীদের সঙ্গে নৃশংস ঘটনা ঘটলে তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় কিন্তু সেই মামলায় অপরাধীর যখন সাজা হয় তখনও কোনও আলোচনা হয় না। এখন সময় এসেছে দোষীদের শাস্তি নিয়েও আলোচনা করার, যাতে অপরাধীদের মনে ভয় তৈরি হয় এবং এধরনের অপরাধ যাতে আর কেউ করতে সাহস না পায়।’