ফের ঝুলে রইলাে বিজয় মালিয়া’র প্রত্যবর্তন। কিছু আইনি বিষয়ের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ফেরার এই ব্যবসায়ীকে ভারতের হাত তুলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। যদিও বকেয়া আইনি বিষয় কী, সে সম্পর্কে খােলসা করে কিছু জানায়নি তারা। এটি গােপন বলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। আর তাতেই বড়েছে জল্পনা। তবে কি অন্য কোনও ছক কষছেন লিকার ব্যারন?
ফেরার লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া’কে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য গত মে মাসে নির্দেশ দিয়েছিল লন্ডন হাইকোর্ট। এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তিনি সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারনে না বলেও জানানাে হয়েছিল। এর পরেই তৎপর হয়ে ওঠে দিল্লি। কবে মালিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেবে ব্রিটেন সরকার? এই নিয়ে চলছে জল্পনা। অবশেষে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
এই প্রসঙ্গে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব দিল্লিতে বলেছেন, আমাদের জানানাে হয়েছে, এক্ষেত্রে একটি গােপন আইনি ইস্যু দেখা গিয়েছে। এটির সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মালিয়াকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া যাবে না। আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে যােগাযােগ রাখছি। ফেরার মালিয়াকে দেশে ফেরাতে সরকার তৎপর বলেও জানিয়েছেন তিনি।
৯ হাজার কোটি টাকার স্বেচ্ছায় ঋণখেলাপি মামলায় বিজয় মালিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনতে মরিয়া ভারত সরকার। ২০১৮ সালে মালিয়াকে ভারতের হাতে প্রত্যর্পণের পক্ষে রায় দিয়েছিল নিম্ন আদালত। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন লিকার ব্যারন বিজয় মালিয়া। তার আবেদন খারিজ করে দিয়ে নিম্ন আদালতের রায় বহাল রাখে হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তারা জানিয়ে দেয়, এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারবেন না বিজয় মালিয়া।
সে দেশের আইন অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট বা হাই কোর্ট রায় দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে প্রত্যর্পণ করতে হয়। তাহলে মালিয়াকে প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে এত জটিলতা কেন?
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্রিটেনে কোনও ব্যক্তি শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় চেয়ে আবেদন করলে তার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যর্পণ পর্বে আইনি বাধা আছে। ৬৪ বছর বয়সী বিজয় মালিয়া কি ব্রিটিশ রাজের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন? বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে মুখ খােলেননি বিজয় মালিয়ার আইনজীবীও।