• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

দ্বিতীয় মাথাকে সব চাপিয়ে নিস্তার  

কলকাতা, ৪ জুন– মাথা তো একটাই আর কত চাপ নেব বলুন তো? মাঝে-মাঝে এমনই কথা শুনতে হয় অনেকের কাছে৷ এই ছুটতে থাকা পৃথিবীতে নানান কাজের চাপে মাথা ব্যাচারা নাজেহাল৷ বাড়ি থেকে অফিস, গিন্নি থেকে বস, ছেলে-মেয়ে থেকে বাজারহাট সব মনে রাখতে গিয়ে মাথা যেন প্রতিনিয়ত যুদ্ধ হয়৷ আচ্ছা মনে হয় না এমন কিছু যদি হত

কলকাতা, ৪ জুন– মাথা তো একটাই আর কত চাপ নেব বলুন তো? মাঝে-মাঝে এমনই কথা শুনতে হয় অনেকের কাছে৷ এই ছুটতে থাকা পৃথিবীতে নানান কাজের চাপে মাথা ব্যাচারা নাজেহাল৷ বাড়ি থেকে অফিস, গিন্নি থেকে বস, ছেলে-মেয়ে থেকে বাজারহাট সব মনে রাখতে গিয়ে মাথা যেন প্রতিনিয়ত যুদ্ধ হয়৷ আচ্ছা মনে হয় না এমন কিছু যদি হত আমাদের সব কিছু সে মনে রাখত৷ আর আমরা মনের সুখে সব করে ফেলতাম৷ নিন, আমনার কথা বোধহয় টেক বিশেষজ্ঞরা শুনে ফেলল৷  বাজারে এল আরেক মাথা৷ যাকে বলা হয় সেকেন্ড ব্রেন৷ সেকেন্ড ব্রেন কোনও চিপ নয়৷ অপারেশন করেও একে শরীরে বসাতে হবে না৷ এটা আসলে এক ডিজিট্যাল নথি৷ এ এমন এক জিনিস যা কোনও ডকুমেন্ট বা ছবি স্টোর করে রাখত পারে অন্তত ৫০০ বছরের জন্য৷

প্রতিদিন আমাদের কত কথ মনে রাখতে হয় বলুন তো? জন্মদিন, ফোন নম্বর, বিবাহ-বার্ষিকী, বাজারের লিস্ট, গুচ্ছের পাসওয়ার্ড, অফিস ওয়ার্ক, তালিকা তো বিরাট লম্বা! এত কিছু মাথায় রাখা সত্যিই সম্ভব নয়৷ মাথা হাল ছাড়লে মনও হাল ছেডে় দেয়৷ ফল, মাথা থেকে অনেক কিছুই হারিয়ে যায়৷ সেকেন্ড ব্রেন সেসবই সেভ করে রাখবে৷ চাইলেই যে কোনও তথ্য চলে আসবে হাতের মুঠোয়? সমীক্ষা বলছে গডে় একজনের মাথা থেকে ৩০ থেকে ৫০টি তথ্য মুছে যায়৷ আইনস্টাইনের মতো যাদের আইকিউ তাঁদের ক্ষেত্রে এই হার কিছুটা কম৷ তবে দ্রুত মুছে যায় ফোন নম্বর, পাসওয়ার্ড, পরিচিতের সঙ্গে প্রথমবার পরিচয়ের পর তাঁদের নাম, এমপ্লয়ি আইডি, ব্যাঙ্ক আইডি সহ অনেক তথ্য৷ মুছে যায় এমন অনেক তথ্য যা আপনি কারও সঙ্গে শেয়ার করতে চান না৷ সে ক্ষেত্রেই মুশকিল আসান করতে পারে সেকেন্ড ব্রেন৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন এটি ক্লাউড বেসড ডেটা স্টোরেজ সিস্টেম৷ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাক্টিভেট হবে৷ অ্যাপ ডাউনলোড হলেই সেকেন্ড ব্রেনের কাজ শুরু৷ বিভিন্ন ছবি ও ডেটা স্টোর করা যাবে৷ খরচ শুরু মাসে ৫৬০ টাকা থেকে৷ আপনি ডেটা স্টোরেজ বলতেই পারেন কিন্ত্ত অ্যাপ সংস্থাগুলি বলছে হিউম্যান মেমোরি৷ তাঁদের দাবি সেকেন্ড ব্রেন ডেটা স্টোর করছে বটে, আসলে তাঁরা স্মৃতিকে ধরে রাখছে৷ এক্কেবারে মানব মস্তিকের মতোই৷

আপনি কী ধরনের সেকেন্ড ব্রেন চাইছেন তা আপনিই বেছে নিতে পারবেন৷ প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করতে হবে কিছু অ্যাপ৷ নোশন, এভারনোট, ওয়ান নোট, ওবসিডিয়ানের মতো অ্য়াপে রয়েছে সেকেন্ড ব্রেন৷ সব অ্যাপেই ক্লাউডে ডেটা স্টোর হবে৷ সেকেন্ড ব্রেন নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছিল ২০০৮ সালে৷ বিজ্ঞানীরা তখন বলেছিলেন মনে রাখাটা মস্তিকের প্রধান কাজ নয়৷ প্রধান কাজ নতুন নতুন চিন্তা-ভাবনা করা৷ মনে রাখার জন্য অন্য ব্যবস্থা প্রয়োজন৷ তারই ফল সেকেন্ড ব্রেন৷ সেকেন্ড ব্রেন কী ডিজিট্যাল ডিভাইসের মতো? উত্তর কিন্ত্ত না৷

ওয়াকিবহাল মহলের মতে সেকেন্ড ব্রেনের আইকিউ বেশ ভাল৷ নিজের বুদ্ধিতে চলতে পারে৷ কোন কোন তথ্য আপনার স্টোর করা উচিত সে বিষয়েও নিয়মিত মোবাইলে আপনাকে অ্যালার্ট দিতে থাকবে এই সেকেন্ড ব্রেন৷