বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রদেশে শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভায় নতুন ২৮ মন্ত্রীর শপথগ্রহণের পর জল্পনা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপি’র অন্দরে। নতুন মন্ত্রী যাঁরা শপথ নিয়েছেন তাদের সিংহভাগই কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি’তে এসেছেন। আর এঁদের বেশির ভাগই জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী। জ্যোতিরাদিত্যর পিসি তথা রাজ্য বিজেপি’র প্রভাবশালী ব্যক্তি যশোধরা রাজে সিন্ধিয়াও ঠাই পেয়েছেন শিবরাজ সিং চৌহানের মন্ত্রিসভায়।
তবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজেই নাকি মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণে কোণঠাসা অবস্থায় আছেন। শিবরাজ সিং চৌহান নতুন মন্ত্রিসভায় নিজের পছন্দসই বিধায়কদের সুযোগ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি’র শীর্ষ নেতাদের ‘বার্তা পেয়ে’ তিনি আর প্রভাব খাটাননি। স্বাভাকিভাবে পিছু হটতে হয় তাকে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠদের সামনে নাকি হতাশা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘সমুদ্র মন্থনের পর সবাই অমৃত পায়। আর বিষতো শিব পান করে।’
এদিন ২৮ জন শপথ নেওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে ১৬ জন বিজেপি বিধায়ক আর ১২ জন বিজেপি’তে যোগ দেওয়া কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিধায়ক। গত মার্চে ৯ জন জ্যোতিরাদিত্যর ‘বিদ্রোহে’ শামিল হয়ে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শিবরাজ মন্ত্রিসভার দ্বিতীয় সম্প্রসারণ পর্ব শুরু হয় ভোপালের রাজভবনে। রাজ্যপাল আনন্দীবেন প্যাটেল একে একে ২০ জন পূর্ণমন্ত্রী এবং ৮ জন প্রতিমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে দেখা গিয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে।
২২ কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার কারণে কমলনাথ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়ে। ২৩ মার্চ মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন শিবরাজ সিং চৌহান। গত ২১ এপ্রিল প্রথম সম্প্রসারণে শপথ নিয়েছিলেন পাঁচ মন্ত্রী। এঁদের মধ্যে ছিলেন দুই জ্যোতিরাদিত্য অনুগামী কংগ্রেস ছেড়ে আসা বিধায়ক তুলসী শিলাওয়াত ও গোবিন্দ সিং রাজপুত। এরা দু’জনেই ছিলেন কমলনাথ মন্ত্রিসভার সদস্য।
প্রদ্যুম্ন সিংহ তোমর, মহেন্দ্র সিং সিসৌদিয়া, প্রভুরাম চৌধুরী এবং ইমারতী দেবী। এঁরা কমলনাথের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। এঁরা শিবরাজ সিং চৌহানের নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভায় পূর্ণমন্ত্রী হয়েছেন জ্যোতিরাদিত্যের সৌজন্যে। এছাড়া বিজেপি’র প্রথম সারির নেতারাও মন্ত্রী হয়েছেন। যেমন গোপাল ভার্গব, বিজয় সাহ ও ভূপেন্দ্র সিংয়ের মতো নেতারা।