• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

সাহিন বাগে সদ্যজাতের মৃত্যু নিয়ে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে তোপ সুপ্রিম কোর্টের

শাহিন বাগে সদ্যজাতের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে নােটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত।

শাহিন বাগে নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান। (Photo: Twitter | @Amirhussainnn)

শাহিন বাগে সদ্যজাতের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্র ও দিল্লি সরকারকে নােটিশ পাঠাল শীর্ষ আদালত। দেশের প্রধান বিচারপতি বােবড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের তরফে বলা হয়, ‘মাতৃত্ব সর্বোচ্চ সম্মান জানাই। শিশুদের সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাদের সঙ্গে যেকোনও ধরনের খারাপ ব্যবহার আমাদের উদ্বেগের কারণ তাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করা উচিত নয়।’

টানা দু’মাস ধরে শাহি বাগে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হচ্ছে। সেখানেই একটি চারমাসের সদ্যজাতের মৃত্যু হয়েছে। তারপরই শীর্ষ আদালত স্বতঃপ্রণােদিত হয়ে কেন্দ্রকে ও দিল্লি প্রশাসনকে নােটিশ পাঠিয়েছে। ঘটনার দিন রাতে শাহি বাগ থেকে ফেরার পর ঘুমের মধ্যে ওই সদ্যজাতের মৃত্যু হয়।

মুম্বইয়ে বসবাসকারী ১২ বছরের কিশােরীর লেখা চিঠির ভিত্তিতে শীর্ষ আদালত উদ্যোগ গ্রহণ করে। জেন গুণরতন সদাভারতে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর চাইল্ড ওয়েলফেয়ার (আইসিসিড), ২০১৯ সালে ন্যাশানাল ব্রেভারি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। তাঁর লেখা চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সদ্যজাতের পিতা-মাতা ও শাহিন বাগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়ােজকরা একটা শিশুকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন, ফলে তার মৃত্যু হয়।’

কিশােরী বিক্ষোভ সমাবেশে যে কোনও বয়সের শিশুদের যােগদানের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপানাের জন্য নির্দেশ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। ২০১৮ সালে, মুম্বইয়ের ক্রিস্টাল টাওয়ারে অগ্নিকান্ড ঘটনায় সদাভারতে মানুষকে বেরােতে সহায়তা করেছিল। সে ১৭ জনকে বের করে নিয়ে এসেছিল।

আইনজীবী বলেন, ‘স্কুলগুলােয় শাহিন বাগের ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়। শিশুরা স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফেরে। তাদেরকে পাকিস্তানি ও জঙ্গি বলা হয়।’

দেশের প্রধান বিচারপতি পাল্টা বলেন, সদ্যজাতের মৃত্যুর সঙ্গে শিশুদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণের বিষয়টি এক নয়। ফলে কোনওভাবে ওই বিষয়টি নিয়ে কোনও আলােচনা করা হবে না। তিনি বলেন, ‘আমরা চাইনা পরিস্থিতিকে ব্যবহার করে আরও চিন্তাজনক করে তােলা হােক। এটা সিএ, এনআরসি মামলা নয়।’

শাহিন বাগ মামলার শুনানি করতে গিয়ে কোর্টের তরফে বিচারপতি সঞ্জয় কৃষ্ণ কউল বলা হয়, ‘জনগণের উচিত নয়, অনির্দিষ্টকালের জন্য রাস্তা অবরােধ করে রাখা। সকলে প্রতিটি জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ শুরু করলে পরিস্থিতি কি হবে তা অকল্পনীয়। পরবর্তী শুনানি ১৭ ফেব্রুয়ারি।’