নিউ দিল্লি, ৩ জানুয়ারি: আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলার তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার সেবিকে এই নির্দেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। প্রসঙ্গত হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ রিপোর্টে দাবি করা হয়, আদানি তাদের শেয়ারের দামে হেরফের করেছে। গত বছর জানুয়ারিতে এই রিপোর্ট প্রকাশের পর আদানির শেয়ারের দামে ব্যাপক ধস নামে। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে প্রায় এক বছর সময় লেগে যায় আদানি গোষ্ঠীর।
আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারের দামে হেরফের সংক্রান্ত অভিযোগের ভিত্তিতে কাঠগড়ায় তোলা হয় সেবিকে। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের হয়। মামলাকারী অনামিকা জয়সওয়ালের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ডিরেক্টোরেট অফ রেভিন্যু ইন্টেলিজেন্সের থেকে তথ্য পাওয়ার পরও আদানির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি সেবি। এই অভিযোগের সপক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়, বেশ কিছু সরঞ্জাম আমদানির ক্ষেত্রে বেশি খরচ দেখানো হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে শেয়ারের দামে হেরফের করেছে আদানি। তবে এই অভিযোগ কতটা সত্য, তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। কারণ সেবি যে তদন্তে গাফিলতি দেখিয়েছে, এমন কোনও তথ্যপ্রমাণ আদালতে পেশ করা হয়নি।
এবার সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট সম্পূর্ণ বল ঠেলে দিল সেবির দিকে। দেশের শীর্ষ আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই ব্যাপারে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না আদালত। কারণ সেবির এক্তিয়ারে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। সুপ্রিম কোর্ট নিজের পর্যবেক্ষণে এও বলে, ‘হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের মতো কোনও রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পৃথক তদন্ত করা যায় না।’
আদানি-হিন্ডেনবার্গ মামলার তদন্ত আগামী তিন মাসের মধ্যে সমাপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে। এই আবহে সম্পূর্ণ চাপের মুখে মামলার আবেদনকারী। সেই সঙ্গে হিন্ডেনবার্গের সমীক্ষা নিয়েও উঠছে একাধিক প্রশ্ন। সুপ্রিম কোর্টের এই অবস্থানের পর বিষয়টির প্রতিক্রিয়া দিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি। তিনি বলেন, ‘ভারতের বৃদ্ধির পথে অবদান জারি থাকবে’।
পাশাপাশি আজকের শীর্ষ আদালতের রায়ের পর অনেকটা স্বস্তি পেল আদানি গোষ্ঠী। এতদিন যাঁরা তাঁর পাশে ছিলেন তাঁদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আদানি। এই নিয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা আমাদের পাশে থেকেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই । ভারতের বৃদ্ধির পথে আমাদের এই স্বল্প পরিমাণ অবদান অব্যাহত থাকবে।’