সরকারি সাইট থেকেই কেবল করোনার তথ্য, সংবাদমাধ্যমকে সুপ্রিম নির্দেশ

করোনাভাইরাস নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক খবর বন্ধ করতে, সংবাদমাধ্যমগুলিকে সরকারি সূত্রের উপরই নির্ভর করতে হবে বলে মঙ্গলবার এক নির্দেশে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম নির্দেশ অনুযায়ী, নির্দিষ্ট সরকারি সাইট থেকে তথ্য নিয়ে সংবাদমাধ্যমগুলি তাদের মাধ্যমে ছাপতে, প্রকাশ করতে বা প্রচার করতে পারবে। কেন্দ্রকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি পোর্টাল তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেখান থেকেই তথ্য নেওয়া যাবে। এই তথ্য হবে অফিশিয়াল ভার্সন।

এদিন কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগের সুরে বলা হয়, করোনাভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে বিভ্রান্তিমূলক খবরের জেরে নানা নেতিবাচক ঘটনা ঘটছে। এই বিষয়ে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ জানায়, এই মহামারী নিয়ে সর্বত্র যে আলোচনা চলছে, তাতে আমরা বাধা দিতে চাই না। তবে সংবাদমাধ্যমের প্রতি নির্দেশ, এই মহামারী নিয়ে যে-যে খবর সামনে আসছে, তা যেন শুধুমাত্র সরকারের যাচাই করা মাধ্যম থেকে নেওয়া হয়।

এমন নির্দেশের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালত জানায়, শ্রমিকদের একটা বড় অংশ অন্য শহরে কাজ করেন। তাঁদের ভুয়ো খবরের মাধ্যমে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এমনও বলা হয়েছে, লকডাউন তিন মাসের বেশি সময় ধরে চলবে। ফলে ভুয়ো খবরের জেরে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের চূড়ান্ত কষ্টের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কয়েকজনের প্রাণও গিয়েছে। তাই ভুয়ো খবর যা প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে, তা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকা সম্ভব নয়।


ভারতীয় দণ্ডবিধির বিপর্যয় ম্যানেজমেন্ট আইন ২০০৫’এর ৫৪ নম্বর ধারা অনুযায়ী যাঁরা ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন, তাদের সর্বোচ্চ এক বছর সাজা, সেইসঙ্গে জরিমানাও হতে পারে। শুধু সংবাদমাধ্যম নয়, সরকার যে নির্দেশ দিয়েছে তা পালন না করলে, ভারতীয় দণ্ড বিধির ১৮৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী যে কোনও নাগরিকেরও সাজা হতে পারে।

এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে এক অ্যাডভাইজরিতে সাধারণ মানুষকেও সতর্ক করা হয়েছে। করোনা নিয়ে গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়ালে এফআইআর দায়েরের কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কথায়, গুজবই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।