গাজিপুরে কৃষকদের ধর্না মঞ্চে যেতে দেওয়া হল না তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে। তার সঙ্গে আরও পনেরাে জন সাংসদকে আটকে দেওয়া হল মূল মঞ্চ থেকে দেড় কিমি দূরে। প্রথম ব্যারিকেড তারা জোর করে পার হলেও, দ্বিতীয় ব্যারিকে আর পেরতে পারলেন না তারা। আটকে দেওয়া হল তাদের। সেই সঙ্গে আটকান হল সংবাদ মাধ্যমকেও।
পুলিশের দাবি যেহেতু আগাম কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি তাই সাংসদদের যেতে দেওয়া হয়নি। যদিও বিরােধীদের পাল্টা দাবি রাজনৈতিক নেতাদের যেতে না পারা নিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি প্রশাসন।
সৌগত রায় এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন। তিনি জানিয়েছেন তারা স্পিকারকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানাবেন। এভাবে ব্যারিকেড গড়ে কাটাতার লাগিয়ে পেরেক পুতে কৃষকদের আন্দোলনকে রুখবার প্রয়াসের তীব্র নিন্দা করে।
তার অভিযােগ কোনও সভ্য দেশে এমন হয় না। বৃহস্পতিবার সাংসদদের আটকে দেওয়ার পর তাদের বাসে করে ফেরত পাঠান হয়। এদিনের প্রতিনিধি দলে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ছাড়াও ছিলেন ডি এমকে এর কানামাঝি, এনসিপির সুপ্রিয়া সুলে, শিরােমণি আকালি দলের হরসিমরত কাউরের মতাে সাংসদরা।
শরদ পাওয়ারের দলের সাংসদ সুপ্রিয়া। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমরা কৃষকদের পাশে আছি। আমরা সরকারকে অনুরােধ করছি কৃষকদের সঙ্গে আলােচনায় বসে বিষয়টির সমাধান করা হােক।