ক্যামেরাজীবীদের আত্ম সুখের জন্য সংসদ টিভি নয়, অভিযোগ কংগ্রেসের

জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননায় অভিযুক্ত স্পিকারও

দিল্লি, ২৭ জুন– সবেমাত্রা তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি৷ বিরোধীপক্ষের আসনে ইন্ডিয়া জোট৷ বিরোধী নেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধি৷  তবে মোদির জন্য এবারের প্রধানমন্ত্রীত্ব পদ খুব একটা মসৃণ হবে না, তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বিরোধী দলনেতা রাহুল৷ সরকার পক্ষের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বিরোধী জোট গডে় তোলায় এখন থেকেই পদে পদে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র ঘাড় চেপে ধরতে চলেছে কংগ্রেস৷ বৃহস্পতিবারই তার নমুনা দেখা গেল মোদির বিরুদ্ধে স্ক্রিন শেয়ারের অভিযোগের মাধ্যমে৷  সংসদের যৌথ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের সময় সংসদ টিভির ক্যামেরা অধিকাংশ সময়েই ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দিকে তাক করা৷ এমনই অভিযোগ তুলল প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস৷

তবে শুধু মোদি নন, শুরুতেই কংগ্রেসের অভিযোগের তীরে দগ্ধ স্পিকার ওম বিড়লাও৷  তাঁর বিরুদ্ধেও জাতীয় সঙ্গীত অবমাননার অভিযোগ এনেছে ইন্ডিয়া জোটের প্রধান শরিক দল৷ রাষ্ট্রপতির ভাষণের প্রাক মুহূর্তে শুরু হওয়া জনগণমন অধিনায়ক সমবেত বাদ্যযন্ত্র সঙ্গীত শুরু হওয়ার সময় লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা দাঁডি়য়ে না পডে় হেঁটে নিজের জায়গায় এসে দাঁড়ান৷ সেই ছবি পোস্ট করে কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে লিখেছেন, স্পিকার মহোদয়, জাতীয় সঙ্গীত শুরু হওয়া মাত্রই আপনি যেখানে ছিলেন, সেখানেই দাঁডি়য়ে পড়া উচিত ছিল৷ আপনি কেন এভাবে জাতীয় সঙ্গীতের অপমান করলেন কী করে?


অন্যদিকে, দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এদিনই প্রশ্ন তুলেছেন যৌথ অধিবেশনে বারবার মোদিকে ক্যামেরার ফোকাস দেওয়া নিয়ে৷ যৌথ অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে উপেক্ষা করে সরকারি প্রচারমাধ্যম অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছে প্রধানমন্ত্রীর মুখ দেখাতে৷ রাষ্ট্রপতি এদিন সংসদে ছিলেন মোট ৫১ মিনিট৷ তার মধ্যে মোদিকে কতবার দেখানো হয়েছে, প্রশ্ন তুলেছেন রমেশ৷

রমেশই জানিয়েছেন, সভার দলনেতা নরেন্দ্র মোদিকে দেখানো হয়েছে ৭৩ বার৷ বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে ৬ বার৷ ক্যামেরার দৃষ্টি সরকারপক্ষের দিকে তাক করা হয়েছে ১০৮ বার এবং বিরোধী বেঞ্চের দিকে মাত্র ১৮ বার৷ রমেশ এক্সবার্তায় লিখেছেন, সংসদ টিভির কাজ সভার কার্যাবলি দেখানো৷ ক্যামেরাজীবীদের আত্মসুখের জন্য নয়৷

এখানেই শেষ নয়, রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও এক্সবার্তায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেন৷ তিনি লেখেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ লিখে দিয়েছে মোদি সরকার৷ যা শুনে মনে হচ্ছিল মোদিজি যেন চিরকালের জন্য প্রত্যাখ্যানের জায়গায় বিচরণ করছেন৷ এই ভোটের ফল তাঁর বিরুদ্ধে গিয়েছে৷ কারণ তাঁর ৪০০ পার স্লোগানের ধারেকাছেও পৌঁছায়নি দল৷ শুধু তাই নয় ম্যাজিক ফিগার ২৭২-ও স্পর্শ করতে পারেনি বিজেপি৷