জেলবন্দি গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম করে ফের হুমকি সলমন খানকে। সলমন ও বিষ্ণোই – দু’জনেরই নাম রয়েছে ওই গানে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে মুম্বইয়ের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে এই হুমকি বার্তা আসে। এর ফলে অভিনেতার নিরাপত্তা নিয়ে ফের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
হুমকি বার্তায় থাকা গানে সলমন খান ও লরেন্স বিষ্ণোইয়ের নাম উল্লেখ রয়েছে। হুমকিদাতা ওই ব্যক্তি বলেন, গীতিকারকে এক মাসের মধ্যে মারাত্মক পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে। তাঁর অবস্থা এমন হবে যে তিনি আর গান লিখতে পারবে না। সলমন খানের সাহস থাকলে তাঁকে বাঁচান।
এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকী খুনের পর সলমন খানের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বাবা সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয় সলমন খানকে। খুনের পর থেকেই ক্রমাগত হুমকি পাচ্ছেন সলমন খান।
১৯৯৮ সালের কালো হরিণ মামলা নিয়ে সলমন খানের উপর রেগে আছেন লরেন্স বিষ্ণোই। সেই কারণেই সলমন খানকে খুন করতে চান তিনি। এক সাক্ষাৎকারে লরেন্স বিষ্ণোই বলেন, সলমন খান ক্ষমা চাইলে আমি কিছুই করব না। এ বছরও সলমন খানের বাড়ির বাইরে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে।
সলমনকে হুমকির ঘটনায় বুধবারই কর্নাটক থেকেই ঝালাইকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাজস্থানের বাসিন্দা ওই যুবক কর্মসূত্রে কর্নাটকে থাকতেন। ধৃতের নাম বিখারাম। ওই যুবক গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোইয়ের গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কি না, তা এখনও জানা যায়নি।
মুম্বইয়ের ট্রাফিক কন্ট্রোল সেল লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাইয়ের নাম করে হুমকি বার্তা পাঠানো হয় সোমবার। সেই হুমকি বার্তায় লেখা ছিল, সলমন খান যদি বেঁচে থাকতে চান, তাহলে তিনি আমাদের মন্দিরে গিয়ে ক্ষমা চান অথবা ৫ কোটি টাকা দিন। এটা না করলে সলমন খানকে মেরে ফেলবে তারা। এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগেই বিখারামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।