লাগাতার জেরায় ভেঙে পড়লেন অভিনেতা সইফ আলি খানের হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। জেরার মুখে তিনি দোষ কবুল করে বলেছেন, সইফের ওপর তিনিই ছুরি চালিয়েছিলেন। এমনকি তিনি যে সইফ-করিনার বাড়িতে ডাকাতির চেষ্টা করেন। সে কথাও স্বীকার করেছেন শরিফুল। তবে শুধুই কি ডাকাতির উদ্দেশে অভিনেতার বাড়িতে হানা দিয়েছিলো কিনা, সেই বিষয়টি এখন মুম্বই পুলিশের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবার ভোরে থানের কাসারভাদালি এলাকায় হীরানন্দানি এস্টেট থেকে ঘটনার মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম শেহজাদকে গ্রেপ্তার করেছিলো পুলিশ। আদালত অভিযুক্তকে পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলো। তারপর থেকেই তাঁকে লাগাতার জেরা করছে মুম্বই পুলিশ। আর এই জেরাতেই ভেঙে পড়েছে শরিফুল। জেরার মুখে আরও জানিয়েছেন, তিনি আদৌ জানতেন না অভিনেতা সইফ আলি খানের পতৌদি প্যালেসে চুরি করতে গিয়েছিলেন। অভিনেতাকেও চিনতেন না। পরে জানতে পেরে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে তিনি গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ঘটনা পুনর্নিমাণের জন্য শরিফুলকে পতৌদি প্যালেসে নিয়ে যেতে পারে পারে মুম্বই পুলিশ।
এছাড়াও রবিবারই কিছু তথ্যের ভিত্তিতে জানা গিয়েছিলো সইফের হামলাকারী একজন বাংলাদেশের নাগরিক। আর এবার জানা গিয়েছে শরিফুল নাকি বাংলাদেশের জাতীয় স্তরের কুস্তিগির। বাংলাদেশেই তাঁর জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা। জাল নথি তৈরি করে তিনি অবৈধভাবে ভারতে ঢুকেছিলেন। গত কয়েকমাসে কাজের সন্ধানে মুম্বই এসেছিলেন। নিজেকে বিজয় দাস নামে পরিচয় দিয়ে মুম্বইতে থাকতেন। সোমবার হাসপাতালে গিয়ে আততায়ী হামলা সংক্রান্ত ঘটনায় তাঁর বয়ান রেকর্ড করতে পারে পুলিশ। তারপরেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে বলে জানা গেছে।
মুম্বই এসে দুটি হোটেলে কাজও করেছিলেন শরিফুল। কিন্তু চুরির অভিযোগে গত আগস্টে তাঁর চাকরি চলে গিয়েছিলো।
গত ১৬ জানুয়ারি, রাত ১টা ৩৭ মিনিট নাগাদ অভিনেতার বাড়িতে ঢুকেছিলেন আততায়ী। পরিচারিকার থেকে ১ কোটি টাকা দাবিও করেছিলেন।