• facebook
  • twitter
Wednesday, 22 January, 2025

হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন সইফ, শরিফুলকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ

কীভাবে প্রথমে অভিনেতার বাড়ির ১০তলার স্নানঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তার পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের নিষ্কাশন নালির সাহায্যে উপরে উঠে পড়েন, সরেজমিনে তা করে দেখায় শরিফুল।

হাসপাতাল থেকে বেরনোর পথে সইফ আলি খান।

অবশেষে মুক্তি। ছুরির আঘাতে আহত বলিউড তারকা সইফ আলি খান হাসপাতাল থেকে ৫ দিন পর বাড়ি ফিরলেন। তবে তাঁকে থাকতে হবে ডাক্তারদের তত্ত্বাবধানে। মঙ্গলবার বেলা ২টো নাগাদ শর্মিলা ঠাকুর ও কারিনা কাপুর খান লীলাবতী হাসপাতালে এসে অভিনেতাকে বাড়ি নিয়ে যান। সইফের গাড়ি ঘিরে ছিলো কড়া নিরাপত্তা। তবে সৎগুরু শরণ আবাসনে নয়, বরং সেখান থেকে খানিক দূরে বান্দ্রার এক ফ্ল্যাটে আপাতত থাকবেন সইফ। অন্যদিকে সইফ আলি খানেই ওপর হামলায় ধৃত শরিফুল ইসলাম শাহাজাদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিলো সৎগুরু শরণ আবাসনে। সেখানে তাঁকে দিয়ে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করায় পুলিশ। হামলাকারীকে লাগাতার জেরা করে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে, সইফের ছোট ছেলে জেহ-কে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ১ কোটি টাকা হাতানোর ছক ছিল তাঁর।

সোমবারই চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলিউড তারকা। খুব তাড়াতাড়ি তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এরপর মঙ্গলবার দুপুরে লীলাবতী হাসপাতাল থেকে বাড়ির দিকে পাড়ি দেন সইফ। তবে এখনও তাঁকে বিছানায় বেশ কয়েকদিন শয্যাশায়ী থাকতে হবে। কারণ তাঁর ক্ষত এখনও শুকোয়নি। মেনে চলতে হবে চিকিৎসকদের পরামর্শ। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে মা শর্মিলা ঠাকুর ও স্ত্রী করিনা কাপুরের সঙ্গে বান্দ্রার ফ্ল্যাটে পৌঁছে যান সইফ। ওখানেই আপাতত থাকবেন তিনি। এই ফ্ল্যাটটি সইফ অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন। এখানেই স্ত্রী-পুত্র-কন্যা নিয়ে থাকবেন তিনি।

অন্যদিকে সোমবার রাতে সইফের হামলাকারী ধৃত শরিফুলকে নিয়ে যাওয়া অভিনেতার বাড়িতে। মুম্বই পুলিশ গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করায় শরিফুলকে দিয়ে। কীভাবে প্রথমে অভিনেতার বাড়ির ১০তলার স্নানঘরে ঢুকে লুকিয়ে ছিলেন তিনি। তার পর শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের নিষ্কাশন নালির সাহায্যে উপরে উঠে পড়েন, সরেজমিনে তা করে দেখায় শরিফুল। হামলার পরই নিরাপত্তারক্ষীদের ভূমিকা ও সইফ-করিনার আবাসনের নজররদারি ক্যামেরার কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। পুলিশ অবশ্য এর উত্তর দিতে গিয়ে বলেছে, অভিনেতার বাড়ির আপৎকালীন দরজায় নজরদারি ক্যামেরা সক্রিয় থাকলেও মূল দরজার ক্যামেরাগুলি ছিলো অকেজো।

এর মধ্যেই শরিফুলকে যত জেরা করা হচ্ছে, ততই নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। প্রথমে চুরির কথা বললেও, এখন শোনা যাচ্ছে অন্য বক্তব্য। এবার শরিফুল জানিয়েছেন, সইফের ছোট ছেলে জেহ-কে অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ১ কোটি টাকা হাতানোর ছক ছিল তার। অপহরণে বাধা পেয়েই সে ১ কোটি টাকা চায় জেহর ন্যানির কাছে। তারপর সইফকে ছুরির আঘাত করেন তিনি। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে শরিফুলের এই নয়া দাবির উপর জোর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিনেতার ফ্ল্যাট থেকে অন্তত ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলেছে বলে দাবি পুলিশের।