রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট ও অন্য আঠারো বিক্ষুব্ধ সদস্যের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না বলে হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকছে। বিধানসভা অধ্যক্ষের জারি করা বরখাস্তের নোটিশ চ্যালেঞ্জ করে শচীন পাইলট ও অন্যান্য আঠারো কংগ্রেস সদস্য হাইকোর্টে যে মামলা করেছিল তার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।
এদিন আদালতে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিংয়ের বিরুদ্ধে রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বলে অভিযোগ করা হয়। বিজেপি যে রাজস্থানের অশোক গেহলট নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তার প্রমাণ দাখিলের জন্য পুলিশে এক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
রাজস্থানের দুই বিক্ষুব্ধ মন্ত্রী ভানওয়ারলাল শর্মা ও বিশ্বেন্দ্র সিংকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অনলাইনে তাদের কথোপকথনের বিষয়টি তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তারা। যে সংবাদমাধ্যম তা প্রকাশ করেছিল তারা সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
রাজস্থান থেকে একটি বিশেষ পুলিশের তদন্তকারী দল দিল্লির কাছে যে রেসর্টে শচীন পাইলটের অনুগামী কংগ্রেস সদস্যরা রয়েছে সেখানে গিয়েছে। কংগ্রেসের পক্ষে কোনও অডিও না শুনিয়েই শেখাওয়াত ও বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের কথোপকথন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। কংগ্রেসের অভিযোগের ভিত্তিতে দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয়মন্ত্রী অডিও টেপ জাল বলে অভিযোগ করেছেন এবং তিনি যেকোনও রকম তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ বিধায়ক ও শচীনের পক্ষে এদিন আদালতে বিধানসভার অধিবেশন না চলার সময়ে কোনও সদস্যকেই বরখাস্ত করা যায় না বলে সওয়ার করা হয়।
বিক্ষুব্ধরা বরখাস্ত এড়াতে পারলে এবং বিধানসভায় ভোটাভুটিতে অংশ নেওয়ার অনুমতি পেলে অশোক গেহলটের সরকার ভেঙে যাবে। কারণ দুশো সদস্যের বিধানসভায় অশোক গেহলটের পক্ষে রয়েছে একশো ছয়টি বিধায়কের সমর্থন।