রাজস্থানে হাল ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। কংগ্রেসের সংসার ভাঙর উপক্রম হতেই ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছিল বিজেপি। কিন্তু সে গুড়ে বালি পড়লেও একটু চেখে দেখতে দোষ কি? তাই প্রিয়াঙ্কা-রাহুলের তৎপরতায় রাজস্থান কংগ্রেসের সংসার টিকে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পরও গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছে বিজেপি।
প্রসঙ্গত, দিল্লির হস্তক্ষেপে বিদ্রোহে ইতি টেনে রাজস্থান ফিরে যাওয়ার পর আজ বিকেলে জয়পুরে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের বাড়িতে গিয়ে বৈঠকে বসেন শচীন পাইলট। এদিনের বৈঠকে কংগ্রেসের সব বিধায়করাই উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে খবর, বহুদিনের গোঁসা কাটিয়ে আজ দুই নেতা পাশাপাশি বসে বৈঠক করেন। যা বিগত বেশ কয়েকমাসের মধ্যে দেখা যায়নি। এমনকি বেশ কিছুদিন ধরেই গেহলট-পাইলট সম্পর্ক একদমই তলানিতে এসে ঠেকেছিল বলে রাজনৈতিক গুঞ্জন। তাঁদের বহুদিন কথা বলতেও দেখা যায়নি। এমনকি সামনা-সামনি থাকলেও তাঁরা পরস্পরকে সম্বোধন করে কথা বলতেন না। তাই এদিনের বৈঠককে ঘরে ছেলের ঘরে ফেরা হিসেবেই দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিকে এই ঘটনার জেরে রাজস্থানে সরকার টিকে যাওয়ার বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ না থাকলেও আজ বিজেপি’র পরিষদীয় দলের বৈঠকে ঠিক হয় গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনবে তারা। বিজেপি’র এদিনের সভায় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও হাজির ছিলেন। বৈঠকের পর রাজস্থান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা গুলাবচন্দ কঠেরিয়া একথা জানান।
পাইলট-গেহলট যুদ্ধে প্রিয়াঙ্কা বঢ়রা হস্তক্ষেপ অবশেষে শান্তি ফেরায় শেষ হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে উত্তেজনারও। সোমবার দিল্লিতে বৈঠকের পরে শচীন ও তাঁর সঙ্গী বিধায়কেরা কংগ্রেস না ছাড়ার কথা ঘোষণা করায় গেহলট শিবিরেও খুশির আমেজ। মুখ্যমন্ত্রীও আজ এক টুইটে বিদ্রোহীদের মাফ করে দেওয়ার আবেদন জানান অন্য বিধায়কদের কাছে।
এছাড়া শচীন অনুগামী দুই বিধায়কের সাসপেনশনও প্রত্যাহার করা হবে জানিয়েছে কংগ্রেস। এ বিষয়ে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের চিঠি স্পিকারের কাছে পাঠানো হয়েছে। অপরদিকে আজ সুপ্রিম কোর্টেও স্বস্তি পেয়েছে গেহলট সরকার।
সম্প্রতি কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিএসপি বিধায়কের আগামীকালের অধিবেশনে যোগ দেওয়া আটকাতে বিজেপি’র তরফে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট আজ এ বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করেছে। ফলে আপাতত সবদিক দিয়ে স্বপ্নভঙ্গ বিজেপি’র।