ইউক্রেনের খারকিভ শহরে রুশ বাহিনীর বোমাবর্ষণে ভারতীয় ডাক্তারি পড়ুয়া নবীন শেখারাপ্পা জ্ঞানগউধরের মৃত্যুর পরই কুটনৈতিক সক্রিয়তা শুরু করল নরেন্দ্র মোদি সরকার।
মঙ্গলবার বিকেলে নয়াদিল্লির রুশ এবং ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এ বিষয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রের খবর।
বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, অবিলম্বে খারকিভ-সহ বিভিন্ন শহরে আটকে পড়া ভারতীয়দের ইউক্রেনের বাইরে যাওয়ার জন্য ‘নিরাপদ পথ’ দেওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
যুধুধান দুই পক্ষকে বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিঙলা পৃথক ভাবে রুশ এবং ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করে এই বার্তা দেন।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি টুইটারে লিখেছেন, ‘খারকিভ-সহ যুদ্ধ বিধ্বস্ত শহরগুলিতে যে ভারতীয় নাগরিকেরা আটকে পড়েছেন, তাঁদের অবিলম্বে নিরাপদ নিষ্কাশনের পথ দিতে বিদেশ সচিব ফের রাশিয়া এবং ইউক্রনের রাষ্ট্রদূতের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার, যুদ্ধের ষষ্ঠ দিনে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর লক্ষ্য করে আক্রমণের অভিঘাত বাড়িয়েছে রুশ সেনা।
মরণপণ প্রতিরোধ করছে ইউক্রেন ফৌজও। এই পরিস্থিতিতে সেখানে আটক ভারতীয়, বিশেষত পড়ুয়াদের ‘ভবিষ্যৎ’ নিয়ে চিন্তিত নরেন্দ্র মোদি সরকার।
নিহত নবীনের এক বন্ধু জানাচ্ছেন, খাবার আনতে বেরিয়ে ছিল তাঁর বন্ধু। বাকিরা হস্টেলে থাকলেও নবীন ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতেন। তাঁর ওই ফ্ল্যাটটি ঠিক গভর্নর হাউসের পিছনে। সেখানেই হামলা করেছে রুশ সেনা।
খারকিভে আটক অন্য এক ভারতীয় পড়ুয়া বলেন, “সোমবার সকালে আমাদের দ্রুত শহর ছাড়তে বলা হয় ভারতীয় দূতাবাসের তরফে। তার পর আমরা আর দূতাবাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি।”
বিদেশ মন্ত্রকের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রুশ বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র হানা এড়াতে খারকিভে আটক ভারতীয়দের ট্রেনে করে ইউক্রেনের পড়শি দেশগুলিতে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ, গাড়িতে গেলে রুশ বাহিনীর নিশানা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কিন্তু খারকিভ স্টেশনে আটক বহু ভারতীয় এখনও ট্রেনে উঠতে পারেননি বলে আটক ওই পড়ুয়ার দাবি।