লােকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠাতার জেরে পাশ হয়ে গিয়েছিল ‘তথ্য জানার অধিকার (সংশােধনী) বিল’। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় বিরােধীদের আপত্তির মধ্যেই ধ্বনি ভােটে পাশ হয়ে গেল আরটিআই বিল। বিজু জনতা দল এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির বিলটিতে সমর্থন করবে বলে আগেই জানিয়েছিল। অধিবেশনে বিল পেশের আগেই সভা ওয়াকআউট করে কংগ্রেস।
আরটিআই বিলে সমর্থন চেয়ে ওড়িশার বিজু জনতা দলের নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে কথা বলেন খােদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। বৃহস্পতিবার আরটিআই আইন নিয়ে সংসদে তুমুল হট্টোগােল শুরু হয়। বিলটিকে বিবেচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানাের দাবি তােলে বিরােধীরা। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠতার জেরে লােকসভায় বিলটি পাশ করিয়ে নেয় সরকার।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন জানিয়েছেন, ‘সংসদে খতিয়ে দেখতে হবে। এটির স্ক্রটিনির প্রয়ােজন রয়েছে। কোনও টি-২০ ম্যাচ নয়’। বিজেডি, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস জানিয়েছে তারা আরটিআই বিলকে সমর্থন দিতে রাজি আছে।
ওয়াইএসআর কংগ্রেস নেতা বিজয় রেড্ডি জানিয়েছেন, ‘আমরা তথ্য জানার অধিকার আইন সংশােধনী বিলটিকে সমর্থন করবাে’। তবে প্রথমে বিলটির বিরােধিতা করেছিল তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতি। বিলটি নিয়ে দলের সভাপতি কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে কথা বলবেন বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন।
কংগ্রেস অধিবেশনে বিল পাশ আগেই ওয়াকআউট করে। দলের তরফ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, সংখ্যা জোগারের চেষ্টা করা হচ্ছে, সম্ভবত বিলটি পাশ হয়ে যাবে।
বুধবারই মেয়াদ শেষ হয়েছে ৫ জন সদস্যের। বিজেপি এবং জোট সঙ্গীদের সংখ্যা সংখ্যাগরিষ্ঠাতা থেকে ৬ জন সদস্য কম রয়েছে। রাজ্যসভায় বরাবর বিরােধীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কাছে হার মানতে হচ্ছে সরকার পক্ষকে। তবে বিরােধীদের হট্টোগােলের মধ্যেই ধ্বনি ভােটে সরকার পাশ করিয়ে নেয় বিতর্কিত বিলটি। এবার আইন হওয়ার অপেক্ষা।