• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

আরটিআই সংশোধনী বিল লোকসভায় পাশ

লােকসভায় সােমবার তথ্য জানার অধিকার (সংশােধনী) বিল পাশ হয়ে গেল বিরােধীদের প্রবল প্রতিবাদ সত্ত্বেও। বিলটি শুত্রবার লােকসভায় পেশ করা হয়েছিল।

প্রতীকী ছবি (Photo: Wikimediacommons)

লােকসভায় সােমবার তথ্য জানার অধিকার (সংশােধনী) বিল পাশ হয়ে গেল বিরােধীদের প্রবল প্রতিবাদ সত্ত্বেও। বিলটি শুত্রবার লােকসভায় পেশ করা হয়েছিল। তথ্য জানার অধিকার (সংশােধনী) বিলের সপক্ষে ভােট দেন ২১৮ জন সাংসদ এবং বিপক্ষে ৭৯ জন।

আরটিআই সংশােধনী বিলে ইনফরমেশন কমিশনারের নিয়ােগের শর্ত, কার্যকালের মেয়াদ, বেতন প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়গুলি নির্ধারণের জন্য সরকারকে ক্ষমতা প্রদানের ধারাগুলি সংযুক্ত হয়েছে।

বিলটি লােকসভায় পেশ করে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিমন্ত্রী জীতেন্দ্র সিং জানান, আরটিআই আইনটি কিছুটা ‘জটিল’। আইনটির সফলভাবে ব্যবহার এবং প্রশাসনিক সুবিধার জন্য সংশােধনী আনা হয়েছে।

লােকসভায় কংগ্রেস দলের নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী ‘আরটিআই বিলের সংশােধনী’ তথ্য কমিশনারের স্বাধীনতা খৰ্বের জন্যই আনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। অন্য কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ‘আরটিআই বাতিল বিল’ এবং সংস্থার স্বাধীনতা ‘বিনষ্টকারী’ বিল আখ্যা দিয়েছেন।

আরটিআই সংশােধনী বিল লােকসভায় পাশ হওয়ার পর সরকারের পক্ষে তার প্রাসঙ্গিকতা ব্যাখ্যা করে জানানাে হয়, ভারতের নির্বাচন কমিশনের কাজ এবং কেন্দ্রীয় ও রাজ্য তথ্য কমিশনারের কাজ সম্পূর্ণ পৃথক। ভারতের নির্বচন কমিশন একটি সাংবিধানিক সংস্থা, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বা রাজ্য তথ্য কমিশন তথ্য জানার অঙ্কিার আইন ২০০৫ অধীনে গঠিত বিধিবদ্ধ সংস্থা।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রের আরটিআই আইনের সংশােধনীর তীব্র বিরােধিতা করে বলেছেন, এই সংশােধনীর ফলে কেন্দ্র ও রাজ্য তথ্য কমিশনের স্বাধীনতা বিনষ্ট করা হল। তথ্য জানার অধিকার আইনের সংশােধনীর সিদ্ধান্ত কালাে অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।