সঙ্ঘ পরিবারের যে তিনটি কোর ইস্যু ছিল তার মধ্যে দুটি পূরণ হয়ে গিয়েছে। অযোধ্যায় নির্মাণ হচ্ছে রামমন্দির। অন্যদিকে কাশ্মীরে অবলুপ্ত হয়েছে ৩৭০ ধারা। এবার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙঘ এবং বিজেপি’র যাবতীয় নজর হল ইউনিফর্ম সিভিল কোড বা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির ওপর। অর্থাৎ সারা দেশের জন্য অভিন্ন আইন।
কিন্তু এই ইস্যুতে কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিতে আগ্রহী আরএসএস। বিজেপি ও আরএসএস নেতারা মনে করছেন, এই ইস্যুতে সহমত তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। প্রসঙ্গত এটি সঙেঘর একেবারে আদি দাবিগুলির মধ্যে একটি।
১৯৯৮ সাল থেকে বিজেপির ইস্তাহারেও রয়েছে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। দল চায় আইন কমিশন এমন একটি বিধি তৈরি করুক, যেখানে মহিলাদের যথাযথ সম্পত্তির অধিকার দেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের বাচ্চা দত্তক নেওয়ার অধিকারও সংযুক্ত হবে। বিচ্ছেদ সম্পর্কিত আইনগুলিরও এখানে সংস্কার করা হবে। বাধ্যতামূলক হবে সব বিয়ে নথিভুক্ত করা।
অনেকেই মনে করেন গত বছর তিন তালাক উঠিয়ে দেওয়া ছিল অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরকরার প্রথম ধাপ। ইতিমধ্যেই সে ব্যাপারে সরব হয়েছে মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড। তাদের মতে এটি ভারতের বৈচিত্রের পরিপন্থী। প্রত্যেক গোষ্ঠীর নিজস্ব পরিচায় রাখার অধিকার রয়েছে বলে মনে করেন তারা। মুসলিমই শুধু নয়, হিন্দুদের মধ্যেও একাংশেরও অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি থাকবে বলে মনে করে আরএসএস।
এক বরিষ্ঠ আরএসএস আধিকারিক বলেন যে, হিন্দু সংগঠনগুলির সঙ্গে কথা বলে বোঝানো হবে। যেভাবে হিন্দু বিবাহ আইন, উত্তরাধিকার আইন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সবার উদ্বেগ প্রশমিত করা হয়েছিল, সেই একই পন্থা এখানেও নেওয়া হবে।
গত বছর একটি প্রাইভেট মেম্বার বিলে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনতে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ কিরোলি লাল মিনা। কিন্তু তাকে বাধা দেন বিরোধীরা। কিন্তু বিজেপি যে এই আইন সংশোধনের বদ্ধপরিকর তা বলে দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। চলতি বছরের জানুয়ারিতেই তিনি বলেন, সবার সঙ্গে আলোচনা করে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি আনা হবে।