দাঁতের নানাবিধ সমস্যার মধ্যে গর্ত হওয়া একটি৷ এমনটি হলে সঠিক চিকিৎসা জরুরি হয়ে পড়ে৷ নতুবা দাত নষ্ট হয়ে যায়৷ দাঁতের গর্তে কখন রুট ক্যানেল করাবেন আর কখন ফিলিং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন প্রসথোডনটিস্ট ড. মুন চট্টরাজ৷
দাঁতের যে অংশটি আমরা দেখতে পাই, সেটি শরীরের সবচেয়ে শক্ত সাদা বর্ণের এনামেল নামক স্তর দিয়ে আবৃত৷ এর পরের হলুদভাব স্তরটি ডেন্টিন আর সর্ব ভেতরের স্তরটি দাঁতের প্রাণ বা মজ্জা৷
মাড়ির ও চোয়ালের হাড়ের মধ্যকার দাঁতের শিকড়ের বাইরের স্তরটি সিমেন্টাম নামক পদার্থ দ্বারা আবৃত থাকে আর ভেতরের বাকি দুটি স্তর একই৷ দাঁতের ক্ষয় যখন প্রথম দুটি স্তরের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তখন ফিলিংয়ের মাধ্যমেই দাঁত কে স্বাভাবিক রাখা যায়৷ এনামেল ক্ষয় হওয়ার প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতে তেমন কোনো অস্বাভাবিকতা অনুভব হয় না, ডেন্টিন ছুঁয়ে গেলে দাঁত শিনশিন করতে পারে৷ অবহেলা বা উদাসীনতার কারণে দাঁতের গর্তের গভীরতা যখন মধ্যকার মজ্জাতে যায় তখন অনেক ব্যথার সৃষ্টি করে, তখন আক্রান্ত দাঁত রক্ষায় রুট ক্যানেল একটি কার্যকর ও নিরাপদ চিকিৎসা৷ চিকিৎসার দাঁতটির ওপর কৃত্রিম মুকুট বা ক্যাপ করে নেওয়া জরুরি৷বয়স্কদের ক্ষেত্রে শুষ্ক মুখ, রুট এবং করোনাল ক্যারিজ এবং পেরিওডন্টাইটিস দেখা যায়৷ বয়স্কদের মাড়ি রোগের ক্ষেত্রে মাড়ি গাঢ় লাল বর্ণের হয়ে থাকে৷ ফোলা ও ব্যাথাযুক্ত মাড়ি থেকে সহজেই রক্তপাত হয়৷ বয়স্কদের মাড়ি মসৃণ, উজ্জ্বল এবং নাজুক অবস্থায় থাকে৷
বয়স্কদের যাদের ডায়াবেটিস থাকে তাদের মাড়ি রোগের দ্রুত অবণতি ঘটে৷ তাই তাদের ক্ষেত্রে দাতের চিকিৎসার আগে ও পরে বিশেষ যত্ন অবশ্যই নেওয়া উচিৎ৷