দিল্লি, ২১ মার্চ – রোহিঙ্গা শরণার্থীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ এবং এদেশে বসবাসকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করল কেন্দ্র।মোদি সরকারের তরফে সাফ জানানো হল, উন্নয়ন এবং জনসংখ্যার বিচারে নিজের দেশের নাগরিকদের ভাল মন্দকেই অগ্রাধিকার দেবে ভারত।
বিদেশি আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে আটক করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের। তাদের মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে এই বিষয়ে হলফনামা দিয়েছে কেন্দ্র।শুধু তাই নয়, ভারতে রোহিঙ্গাদের অভিবাসন জাতীয় নিরাপত্তার উপর পরপভাব ফেলবে বলেও আশংকা।
নতুন করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরী হয়েছে। বিশেষ করে দেশে সিএএ কার্যকর হওয়ার পর এই বিতর্ক আরও বেশি দানা বেঁধেছে। উল্লেখ্য, বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মায়ানমারে জাতিহিংসার ঘটনায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ভারত, বাংলাদেশ-সহ একাধিক দেশে অবৈধভাবে প্রবেশ করে। সিএএ-তে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তানে নির্যাতিত অমুসলিম সম্প্রদায়কে নাগরিকত্ব দেবে ভারত। এর বাস্তবায়ন নিয়ে বিরোধীদের একাংশ জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে। পাল্টা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ প্রশ্ন তুলেছেন, কেন বিরোধী নেতারা রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের বিরোধিতা করছেন না।
কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী ভারতে প্রায় ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম অনুপ্রবেশ করেছে। এই পরিসংখ্যান ২০১৭ সালের। মোদি সরকারের দাবি গত দুই বছরে চার গুণ বেড়েছে জনসংখ্যা। উল্লেখ্য, কেন্দ্র রোহিঙ্গা মুসলিমদের কখনই শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, বরং অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলেছে।
কেন্দ্রের হলফনামায় বলা হয়েছে, ‘একজন বিদেশী শুধুমাত্র সংবিধানের ২১ নং অনুচ্ছেদের অধীনে জীবন এবং মানবিক স্বাধীনতার অধিকার উপভোগ করতে পারেন। কিন্তু ভারতে বসবাস বা বসতি স্থাপনের মৌলিক অধিকার দাবি করতে পারেন না। এই অধিকার রয়েছে শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদেরই।’