• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

কংগ্রেসের রক্তচাপ বাড়িয়ে আমেঠি পেতে মরিয়া রবার্ট বঢরা

‘দেশ চায় আমি সক্রিয় রাজনীতি করি’ দিল্লি, ২৭ এপ্রিল– গান্ধি জামাই এখন কংগ্রেসের গলায় আটকানো এমন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাকে না ফেলতে পারছে না গিলতে পারছে কংগ্রেস৷ সোনিয়া গান্ধির জামাই রমার্ট বঢরা কয়েকদিন ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছে প্রকাশ করে চলেছেন৷ শুধু কি রাজনীতি তিনি এখন ভোটে অংশ নিতে মরিয়া৷ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে

‘দেশ চায় আমি সক্রিয় রাজনীতি করি’
দিল্লি, ২৭ এপ্রিল– গান্ধি জামাই এখন কংগ্রেসের গলায় আটকানো এমন কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে যাকে না ফেলতে পারছে না গিলতে পারছে কংগ্রেস৷ সোনিয়া গান্ধির জামাই রমার্ট বঢরা কয়েকদিন ধরেই রাজনীতিতে প্রবেশের ইচ্ছে প্রকাশ করে চলেছেন৷ শুধু কি রাজনীতি তিনি এখন ভোটে অংশ নিতে মরিয়া৷ ফের সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখা নিয়ে নিজের ইচ্ছাপ্রকাশ করলেন প্রিয়াঙ্কার স্বামী রবার্ট বঢরা৷ আমেঠি আসনে লড়তে চেয়ে বিজেপি সাংসদ স্মৃতি ইরানিকেও একহাত নিয়ে বঢরার বক্তব্য, ‘দেশ চায় আমি সক্রিয় রাজনীতি করি’৷
কংগ্রেস সূত্রে খবর, শাশুডি় সোনিয়া, শ্যালক রাহুল ছাড়াও কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে তিনি ভোটে দাঁড়াতে চেয়ে ইতিমধ্যেই কাতর আবেদন জানিয়েছেন৷ পছন্দের কেন্দ্র হিসাবে তিনি আমেঠিকে বেছে নিয়েছিলেন৷ একান্তই আমেঠি দেওয়া সম্ভব না হলে দেশের যে কোনও একটি আসন থেকে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান বলে শোনা গিয়েছিল৷ ফলে বিড়ম্বনায় পড়ে গান্ধি পরিবার৷ কারণ জামাইকে প্রার্থী করলে তা যে বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দেওয়া হবে তা ভালো করেই জানেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ সোনিয়া ও খাড়গেরা৷ এমনকী দলের বহু নেতা একান্তে বলছেন, রবার্ট প্রার্থী হলে গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে বিজেপির পরিবারতন্ত্র অস্ত্র আরও ধারালো হয়ে উঠবে৷
তবে শাশুড়ি কিম্বা কংগ্রেস সভাপতি না চাইলেও রবার্ট যে এত সহজে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়াবেন না, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন৷ সম্প্রতি এ প্রশ্নের উত্তর প্রিয়াঙ্কার স্বামী সাফ জানান, ‘গোটা দেশ চাইছে আমি সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখি৷ সমস্ত মানুষ আমাকে তাদের পাশে চায়৷ ১৯৯৯ সাল থেকে আমি ওখানে (আমেঠি) প্রচার করে আসছি৷ সেখানকার বর্তমান সাংসদ স্মৃতি ইরানি কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখেননি৷’ এর আগেও তিনি দাবি করেছিলেন, আমেঠির মানুষ জানিয়েছেন তিনি প্রার্থী হলে জিতে যাবেন৷ জেতানোর দায়িত্ব ভোটাররাই নেবেন৷ রবার্টের এমন মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়৷ কিন্ত্ত রবার্ট নিজের অবস্থানে অনড়৷ তাঁর সাফ কথা, মানুষ পরিবর্তন চায়৷ এমনকী দুই দফা ভোটের পর দেশজুডে় কংগ্রেসই এগিয়ে বলেও দাবি করেন তিনি৷ যদিও বঢরার মন্তব্যে প্রমাদ গুনছে কংগ্রেস৷