আম আদমিদের ‘ভালোবাসা’ ফেরৎ দিলেন

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। (Photo by Sajjad HUSSAIN / AFP)

দিলওয়ালে দিল্লিবাসীদের দৌলতে ফের দিল্লির মসনদে আপের আসন সুনিশ্চিত হল। ভােট পরীক্ষায় উন্নয়ণের বার্তাই ছিল আপের হাতিয়ার। বিভেদের নয় নতুন ধারার রাজনীতিতে পুরাে দোস্তুর ভরসা রেখেছে সাধারণ মানুষ। নির্বাচনী ফলাফলেই তার বহিঃপ্রকাশ। এই নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আম আদমী পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল ।

হাতে গরম ফল পেয়েই দিল্লির আম আদমীদের আপের ‘ভালােবাসা’ ফেরৎ দিয়ে নতুন ধারার রাজনীতিতে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন কেজরিওয়াল। বিপুল জয়ের পরেও উচ্ছ্বাসে ভেসে যাননি কেজরিওয়াল। বরং মাটি পা রেখেই যে চলেন আম আদমি পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অরবিন্দ কেজরিওয়াল তা আরও একবার প্রমাণ করলেন। বিরােধী দল বিজেপি’র দিকে বিদ্রুপ নয়। উন্নয়নই হয়ে উঠল কেজরিওয়ালের জয়বার্তা।

দিল্লির ভােটে কেজরিওয়ালকে আতঙ্কাবাদী বলে প্রচার চালিয়েছিল বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু ঘৃণার রাজনীতির চক্রবুহ্যে ভুলেও পা বাড়াননি কেজরিওয়াল। উল্টে ভােটযুদ্ধে নিজের শাসনকালে দিল্লিবাসীর জন্য উন্নয়নই ছিল তাঁর ও দলের প্রচারের হাতিয়ার। আর জনতা জনার্দন উপযুক্ত ব্যাক্তিকেই ফের বেছে নিয়েছেন। জয় সুনিশ্চিতের পরে কেজরিওয়ালের বক্তব্যে আগামী ৫ বছরের আপের এজেন্ডা- ‘উন্নয়ন’ স্থির করে দিলেন। দল মত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের স্বার্থরক্ষাই যে আম আদমী পার্টির মূল লক্ষ্য তা জানিয়ে দিলেন সুপ্রিমাে অরবিন্দ কেজরিওয়াল।


তিনি বলেন, দিল্লিতে স্কুল ও মহল্লা ক্লিনিক আগামী দিনেও আপের উন্নয়ন কর্মসূচিতে অগ্রাধিকার পবে। সাধারণ মানুষ এই উদ্যোগে উপকৃত হয়েছেন। আরও কাজ বাকি রয়েছে। তা লক্ষ্যমত্রা হিসাবে নির্ধারণ করেন আপ নেতৃত্ব।

বক্তব্য রাখতে গিয়ে বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কেজরিওয়াল। তিনি জানান, দিনটি ছিল তাঁর স্ত্রী সুনিতার জন্মদিন তাঁর রাজনীতির যাত্রাপথে নিজের গােটা পরিবার সবথেকে বড় সমর্থক। তাঁরা পাশে না থাকলে এই জয় সম্ভব হত না। বাজরঙ্গবলীর আশীর্বাদ রয়েছে দিল্লিবাসীর ওপর বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এর সঙ্গেই ইনকলাব জিন্দাবাদ, ভারত মাতা কি জয় এবং বন্দে মাতরম ধ্বনি দিয়ে জয়বার্তা শেষ করেন কেজরিওয়াল।