• facebook
  • twitter
Sunday, 8 September, 2024

অন্ধ্রপ্রদেশে পুনরুত্থান চন্দ্রবাবু নাইডুর

অমরাবতী, ৪ জুন –  অন্ধ্রপ্রদেশের মসনদে আবার চন্দ্রবাবুর নাইডুর দল। বিকেল পর্যন্ত ফলাফলে টিডিপি এককভাবে  এগিয়ে ১৩২টি আসনে। সরকার গঠনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিডিপি এবং বিজেপি জোট ৷ বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭ টি আসনে । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জনসেনা পার্টি ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ

অমরাবতী, ৪ জুন –  অন্ধ্রপ্রদেশের মসনদে আবার চন্দ্রবাবুর নাইডুর দল। বিকেল পর্যন্ত ফলাফলে টিডিপি এককভাবে  এগিয়ে ১৩২টি আসনে। সরকার গঠনের দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেল টিডিপি এবং বিজেপি জোট ৷ বিজেপি এগিয়ে রয়েছে ৭ টি আসনে । নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, জনসেনা পার্টি ২০ টি আসনে এগিয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, আগামী ৯ জুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে পারেন চন্দ্রবাবু। ওয়াইএসআরসিপি অন্ধ্র প্রদেশে ১৮টি আসনে এগিয়ে রয়েছে।

পাঁচ বছর আগে ওয়াইএসআরসিপি-র নেতা জগন মোহন রেড্ডির কাছে হারের মুখ দেখতে হয়েছিল টিডিপি সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নাইডুকে৷ মঙ্গলবারের ফলাফল সেই হারের লজ্জা থেকে মুক্তি দিল অন্ধ্রপ্রদেশের এই বর্ষীয়ান রাজনৈতিক নেতাকে৷ এবার ওই  রাজ্যের  বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ও জনসেনা পার্টিকে নিয়ে তৈরি তাঁর দলের জোট বিপুল জয় পেতে চলেছে৷ ফলে অন্ধ্রে ক্ষমতায় বসার পথে আবার এগিয়ে চন্দ্রবাবু ৷

সূত্রের খবর, অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জগন মোহন রেড্ডি মঙ্গলবার বিকেলে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে রাজভবন যান।  রাজ্যপালের হাতে এদিনই নিজের ইস্তফাপত্র জমা দেন তিনি।  

অন্ধ্র বিধানসভায় আসন সংখ্যা ১৭৫ ৷ এর মধ্যে টিডিপি এগিয়ে ১৩০ টি আসনে ৷ ২০১৪  সালে মাত্র ২৩ টি আসন পেয়েছিল চন্দ্রবাবুর দল ৷ শুধু বিধানসভাই নয়, লোকসভাতেও ওই রাজ্যে টিডিপি ভালো ফল করতে চলেছে। ২৫ টির মধ্যে ১৬ টি আসনে তারা এগিয়ে রয়েছে ৷ জোটসঙ্গী বিজেপি ৩ টিতে ও জনসেনা পার্টি এগিয়ে ২ টিতে ৷

অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তোর জেলার নারাভারিপল্লিতে ১৯৫০ সালের ২০ এপ্রিল জন্ম হয়  নারা চন্দ্রবাবু নায়ডুর ৷ তিরুপতির শ্রী ভেঙ্কটেশ্বরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকেই তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন৷ তার পর প্রায় চারদশক তিনি রাজনীতিতে রয়েছেন ৷ শুরুর দিকে তিনি কংগ্রেসে ছিলেন৷ অন্ধ্রে কংগ্রেস সরকারের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হন৷ পরে তিনি তাঁর শ্বশুর এনটি রামা রাও-এর তৈরি রাজনৈতিক দল টিডিপি-তে যোগদান করেন ৷

১৯৯৫ সালে প্রথমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন চন্দ্রবাবু নায়ডু ৷ তার পর তিনবার ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন তিনি ৷ ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন৷ সেই সময় টানা নয় বছর তিনি ক্ষমতায় ছিলেন৷ দশ বছর আগে অন্ধ্রপ্রদেশ ভাগ হয়ে তেলেঙ্গানা তৈরি হওয়ার পর তিনি তৃতীয়বারের জন্য পুনর্গঠিত অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী হন৷২০১৯ সালে তিনি জগন মোহন রেড্ডির কাছে হেরে যান ৷

তাঁকে আধুনিক হায়দরাবাদ শহরের রূপকার বলা হয়৷ বিশেষ করে হায়দরাবাদকে হাই-টেক শহরে রূপান্তরিত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন৷ প্রয়াত অটল বিহারী বাজপেয়ী যখন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, সেই সময় দিল্লিতে এনডিএ সরকার তৈরিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন ৷ বাজপেয়ী সরকারকে সেই সময় তিনি  বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিলেন৷

২০২৩ সালে তাঁকে স্কিল ডেভলপমেন্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে জগনের সরকার৷ তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারে সেটাই সবচেয়ে খারাপ সময় ছিল ৷ প্রায় দু’মাস তিনি জেলে ছিলেন তিনি ৷ জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি তাঁর নতুন রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন৷ বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান,  যোগ দেন এনডিএ-তে ৷ তার পর জনসেনা ও বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে অন্ধ্রের ভোট ময়দানে নামেন তিনি  ৷

বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফলে যে ইঙ্গিত মিলেছিল, তার ভিত্তিতে তেলুগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর মত, জয়ের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে এনডিএ ৷ আর সেই সূত্রেই টিডিপি-র হাত ধরে এবার অন্ধ্রপ্রদেশে পালা বদলের ইঙ্গিত মিলেছে। ভোট গণনার ফলাফলও সেই পথেই এগোচ্ছে ৷