মহারাষ্ট্রে কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে বিধিনিষেধ শিথিল : উদ্ধব ঠাকরে

উদ্ধব ঠাকরে (File Photo: Twitter/@ShivSena)

মহারাষ্ট্র জুড়ে লকডাউনের বিধি নিষেধ শিথিল করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে লকডাউন চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। দেশে প্রায় দুই লাখ করোনা আক্রান্তের মধ্যে মহারাষ্ট্রেই ৬২ হাজারের বেশি আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু এতদসত্ত্বেও মহারাষ্ট্রে তিন জুন থেকে আট জুনের মধ্যে তিনটি পর্যায়ে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার প্রক্রিয়া চলবে বলে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়েছে। তবে আট জুনের পর সরকার অবস্থা বিবেচনা করে প্রবর্তী পদক্ষেপ ঘোষণা করবে।

‘দ্য মিশন বিগিন এগেইন’এর মাধ্যমে প্রাতঃভ্রমণের মধ্যে দিয়ে রাতের কার্ফু পর্যন্ত সময়ে কিভাবে এই বিধিনিষেধ শিথিল করা যায় তার রূপরেখা তৈরি করা হবে। তবে এই শিথিলের প্রক্রিয়া কেবল যেখানে ন্যূনতম সংক্রমণ হয়েছে এমন নন-কনটেনমেন্ট এলাকার জন্যই করা হবে।

কেন্দ্রের পঞ্চম দফার লকডাউন ঘোষণার পরই রাজ্য সরকার এই ব্যবস্থার কথা ভাবতে শুরু করেছে। কনটেনমেন্ট এলাকার বাইরে বিধিনিষেধ শিথিল করার জন্যও কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে তাদের সুবিধামতো ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে।


রাজ্যমন্ত্রিসভার সদস্য মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র আদিত্য ঠাকরে টুইট করে বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন বিধি শিথিল করে স্বাভাকি কাজকর্ম শুরুর খবর জানিয়েছেন। তবে সারা বিশ্বে করোনা যে মহামারীর প্রভাব ফেলেছে তা বিবেচনা করেই আমাদের বিধিনিষেধ বিষয়ে সতর্ক হতে হবে বলে জানিয়েছেন।

নতুন ঘোষণার মধ্যে মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষে জানানো হয়েছে, সাইকেল চালনা, জগিং, হাঁটা, দৌড়ানো প্রভৃতিতে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বিশেষত সাইকেল চালনার ফলে শারীরিক দূরত্ব বজায় থাকার জন্য সরকার সাইকেল চালানোর বিষয়ে বিশেষ জোর দিয়েছে। এছাড়া, প্লাম্বার, বিদ্যুৎ মিস্ত্রি অন্যান্য কাজে দক্ষ ব্যক্তি, কীটনাশক কাজে যুক্তদের কাজ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সরকারি অফিসগুলিকে তিন জুন থেকে পনেরো শতাংশ লোকবল নিয়ে কাজ চালু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাঁচ জুন থেকে বাজার ও দোকানপাট খোলা যাবে তবে প্রতিদিন খোলা যাবে না। ট্যাক্সি, রিক্সায় দুই জন করে যাত্রী নিয়ে চালানো যাবে। আট জুনে বেসকারি অফিসগুলি তাদের দশ শতাংশ কর্মী নিয়ে অফিস শুরু করতে পারবে। জেলায় বাসে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করা যাবে।

তবে এখনই কোনও স্কুল কলেজ, মল, জিম, রেস্তোরাঁ, মার্কেট কমপ্লেক্স, বিউটি স্যালন খোলা যাবে না। চলবে না মেট্রো, লোকাল ট্রেন।

মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, লকডাউন পরবর্তী সময়ে যাতে নতুন করে করোনা সংক্রমণ না হয় সেজন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। গতকালই এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার ও উদ্ধব ঠাকরের মধ্যে লকডাউন পৰ্বর্তী ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। উভয়ের মধ্যে প্রায় চল্লিশ মিনিট আলোচনা হয়। তবে রাজ্যে আর্থিক কাজকর্ম চালুর বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন শরদ পাওয়ার বলে সূত্রের খবর।