সিকিমে আটকে থাকা ৯ পর্যটককে উদ্ধার,  বিপর্যস্ত সড়ক যোগাযোগ 

গ্যাংটক, ১৭ জুন – উত্তর সিকিমে আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সোমবার বিকেল পর্যন্ত মোট ৯ জন পর্যটককে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে টুং থেকে। এটাই প্রথম ধাপের উদ্ধারকাজ বলে সিকিম প্রশাসন সূত্রে  জানা গেছে। আবহাওয়ার উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। জেলা প্রশাসনের পর্যটন দফতর এবং অসামরিক বিমান পরিবহণ দফতর একত্রে পর্যটকদের উদ্ধার করে আনার কাজে হাত দেয়। এখনও পর্যন্ত বৃষ্টি এবং বারংবার ধসে উদ্ধারকাজে বাধা আসছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে উদ্ধারকাজের সময়  বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। 

প্রকৃতির রোষে লণ্ডভণ্ড সিকিম। সিকিমের অন্যান্য জায়গার থেকে মঙ্গন জেলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন। কোনও দিক থেকেই সড়ক পথে মঙ্গনে পৌঁছনো সম্ভব হচ্ছেনা। বিপদসংকুল পথে সড়কপথে হেঁটেই সমতলের পথে রওনা হয়েছেন পর্যটকরা।  ১১ জুন থেকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত একাধিক পথ। ডিকচু-সংকলন-টুং, মঙ্গন-সংকলন, সিংথাম-রাংরাং এবং রাংরাং-টুং সহ উত্তর সিকিমের দিকে যাওয়ার একাধিক রাস্তা ভারী বৃষ্টির জেরে বিধ্বস্ত । উত্তর সিকিম এবং জংগু অঞ্চলে প্রাথমিক সংযোগ ব্যবস্থার অন্যতম মাধ্যম সংকলন সেতু। সেই সেতুই ভেঙে পড়ায় পরিস্থিতি দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। তার উপর খারাপ আবহাওয়ার কারণে আটকে পড়া  পর্যটকদের বের করে আনতে সমস্যা হয়। তবে যে পর্যটকেরা চুংথাংয়ে আটকে ছিলেন, তাঁদের দুপুর ১২টা নাগাদ উদ্ধার করা হয়েছে। টুং থেকে মঙ্গন হয়ে তাঁদের বার করে আনা হয়।
 
পাশাপাশি, তিস্তার কিছু  অংশের মেরামতির কাজ প্রায় শেষ হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে স্থানীয়দের মধ্যে। কারণ, তিস্তার গতিপথ বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক। নদীর জলস্তর নতুন করে না বাড়লে খুব শীঘ্রই ঘরে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশায় বুক বাঁধছেন বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।