দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি– ভাত-রুটি প্রিয় ভারতীয়রা নাকি আর ভাত-রুটির জন্য বেশি খরচ করতে নারাজ৷ বরং তারা বেশি-বেশি করে খরচ করছে দুধ, কলা, ফল এবং সবজিতে৷ এমনটাই তো বলছে সমীক্ষা৷ ২০২২-২৩ সালে গার্হস্থ্য খরচের সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে এসেছে৷ সমীক্ষা বলছে এ দেশের মানুষ চাল-আটা কেনার থেকে উপার্জনের অধিকাংশ অর্থ ব্যয় করেন দুধ, ফল এবং সবজি কিনতে৷ তার নীচের দিকে রয়েছে চাল, আটা, বাজরার মতো খাদ্যশস্যের জন্য খরচ৷ তবে ডিম, মাছ এবং মাংস কেনার খরচও দিনদিন বাড়ছে৷ সেটা শুধুমাত্র শহুরে মানুষের মাসখরচের তালিকায়৷
আগে মনে করা হতো ভারতীয়রা ভাত-রুটির উপর অধিকাংশ নির্ভরশীল৷ অন্যভাবে বলা যায়, স্বাস্থ্য সচেনতার কারণে যেসব খাবারে অতিরিক্ত প্রোটিন এবং বহু উপকারিতা আছে, সেইসব ক্যালোরি নির্ভর খাবারের জন্যই মানুষ বেশি খরচ করছেন৷ কিন্ত্ত, দিনদিন দেখা যাচ্ছে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকার পরিবর্তনে খরচের বহরেরও দিকবদল ঘটছে৷ সেখানে খাদ্যশস্য ও চিনির জায়গায় দখল করেছে পশুজ খাদ্য এবং উদ্যানজাত খাদ্যদ্রব্য৷
অর্থাৎ পরিবর্তনটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে কোভিডকাল থেকে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন ঘটেছে অতিরিক্ত মাত্রায়৷ যার কারণ হল দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি৷ একইভাবে শহুরে এলাকাতেও এই পরিবর্তন চোখে পডে়ছে৷ জাতীয় স্যাপ্লল সার্ভে অফিসের এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, মাসে গড়পরতা খাবারের জন্য খরচ অনেক নেমে এসেছে৷ গ্রামীণ এলাকায় ২০২২-২৩ সালে তা ৪৬.৪ শতাংশে নেমেছে৷
২০১১-১২ সালে তা ছিল ৫২.৯ শতাংশ৷ ২০০৪-০৫ সালে ৫৩.১ শতাংশ এবং ১৯৯৯-২০০০ সালে যা ছিল ৫৯.৪ শতাংশ৷ ১৯৯৯-২০০০ সালে শহুরে এলাকায় খাবারের খরচ ছিল ৪৮.১ শতাংশ৷ সেটাই ২০০৪-০৫ সালে পডে় গিয়ে হয়েছে ৪০.৫ শতাংশ৷ প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ সালে সামান্য বেডে় ৪২.৬ হলেও ২০২২-২৩
সালে ফের পডে় গিয়ে হয়েছে ৩৯.২ শতাংশ৷
সমীক্ষা থেকে আরও জানা গেছে:
• গ্রাম ও শহর এলাকায় খাদ্যশস্যের জন্য খরচ অনেক কমেছে৷
• দুধের থেকে খাদ্যশস্যের খরচ বেড়েছে কয়েকগুণ৷
• ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাদ্যের দিকে ঝোঁক বাড়ায় ফল এবং সবজির জন্য মানুষ এখন বেশি খরচ করছে৷
• এরপরেই পশুজ প্রোটিনের প্রতি মানুষের ব্যয় বেডে়ছে৷ যেমন ডিম, মাছ, মাংসের জন্য হেঁসেলে এখন বেশি মনোনিবেশ করেছে স্বাস্থ্য সচেতন ভারতীয়৷
• মানুষ এখন ফ্রোজেন রেডি টু কুক খাবারের প্রতি প্রায় আসক্ত৷ প্রক্রিয়াকরণ খাদ্যের জন্য মানুষ আগের থেকে অনেক বেশি খরচ করছে৷