শাহিন বাগ প্রতিবাদ নিয়ে শীর্ষ আদালতে রিপাের্ট জমা করলেন মধ্যস্থতাকারী- সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শাহিন বাগে এখনও বিক্ষোভ কর্মসুচী অব্যাহত।
শীর্ষ আদালত অ্যাডভােকেট সঞ্জয় হেগড়ের পাশাপাশি অ্যাডভােকেট সাধনা রামচন্দ্রনকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়ােগ করেছিল। তারপর বিচারপতি এস কে কউল ও বিচারপতি কে এম জোসেফের বেঞ্চের তরফে জানানাে হয়, মধ্যস্থতাকারীদের জমা দেওয়া রিপাের্টটি পড়ে দেখা হবে। পরবর্তী শুনানি করা হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি। পাশাপাশি স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয় , জনস্বার্থ মামলার আবেদনকারী, কেন্দ্র ও দিল্লি পুলিশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রিপোের্টটি শেয়ার করা হবে না।
সংশােধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন নিয়ে একগুচ্ছ জনস্বার্থ মামলার আবেদনগুলির শুনানি করতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের তরফে বলা হয়, রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনের ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা তৈরি হচ্ছে। প্রাক্তন মুখ্য তথ্য কমিশনার ওয়াজাহাত হাবিবুল্লা বলেছিলেন, শাহিন বাগ থেকে জোর করে প্রতিবাদকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হলে বিক্ষোভকারীদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে।
তিনি শীর্ষ আদালতে হলফনামা জমা দিয়ে বলেন, আমি শাহিন বাগে গেছি। পুলিশ সেখানে কিভাবে ব্যারিকেড দিয়েছে তা নিজের চোখে দেখেছি। শাহিন বাগ ও সংলগ্ন এলাকায় প্রচুর রাস্তা রয়েছে, যেগুলির সঙ্গে প্রতিবাদ স্থলের কোনও যােগাযােগ নেই। কিন্তু ওই রাস্তাগুলােতে পুলিশ অকারণে ব্যারিকেড দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব অস্বীকার করে বিক্ষোভকারীদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। ফলে স্থানীয় মানুষদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দেশের প্রায় সর্বত্র জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার, জাতীয় নাগরিকপঞ্জী সংশােধিত নাগরিক আইনের বিরােধিতায় মানুষজন প্রতিবাদ করছেন।
শীর্ষ আদালত পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সিনিয়র অ্যাডভােকেট সঞ্জয় হেগড়ে ও অ্যাভােকেট সাধনা রামচন্দ্রণকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়ােগ করেছিল বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সুত্র খোঁজার জন্য। পাশাপাশি হাবিবুল্লা ও চন্দ্রশেখর আজাদের সহায়তা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।