নবম দফার বৈঠকের পরেও শান্তি ফেরেনি লাদাখ সীমান্তে। বারবার সেনা সরানাে নিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেও তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যেও সেনা সরায়নি চিন। ফের একবার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় জওয়ানদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে লাল ফৌজ।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, এলএসি-র কাছে সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে একাধিক মিলিটারি ট্যাঙ্ক নিয়ে হাজির হয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মি। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্তে এলএসি-র কাছে এসে পৌছেছে প্রায় ৩৫০ টি ট্যাঙ্ক। সাউথ ব্যাঙ্ক, ডেসপাংসহ একাধিক জায়গায় ট্যাঙ্ক মজুত করেছে চিনা বাহিনী।
গত ২৪ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ সামরিক পর্যায়ের নবম দফার বৈঠক হয়েছিল। মলদো সীমান্তে নবম দফার বৈঠক চলেছিল প্রায় ১৬ ঘণ্টা। কিন্তু তারপরেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। লাদাখ সীমান্তে গালওয়ান উপত্যকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত হয়েছিলেন ২০ জন ভারতীয় জওয়ান। চিনের পক্ষ থেকে কোনও তালিকা প্রকাশ করা না হলেও মার্কিন গােয়েন্দারা জানিয়েছিলেন, লাল ফৌজেরও একাধিক জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন। তারপর থেকেই উত্তপ্ত লাদাখ সীমান্ত।
২৪ জানুয়ারি সামরিক বৈঠকের পর ভারত ও চিন দুই দেশ যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে বৈঠকের সাফল্যের ব্যাপারে আশাপ্রকাশ করেছিল। কিন্তু তারপরেও শান্তি এলাে না সীমান্তে। একদিকে চিন যখন কূটনৈতিক বৈঠকের মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলছে তেমনই অন্যদিকে উস্কানি দিতেও ছাড়ছে না। এর আগেও একাধিকবার চিনের তরফ থেকে উস্কানি এসেছে। বৈঠকে শান্তির কথা বলে ভারত মহাসাগরে আন্ডারওয়াটার ড্রোনও পাঠিয়েছে চিন।