• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

তিন জেলায় লাল সতর্কতা নিম্নচাপের শক্তি বাড়ছে, ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গ

মধ্য-পূর্ব এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উপকুলমুখী হয়েছে সেই নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গের স্থলভাগের দিকে সরে যাচ্ছে সেই নিম্নচাপ।

প্রতীকী ছবি (File Photo: iStock)

পূর্বাভাস ছিলই, সেইমতাে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত। মধ্য-পূর্ব এবং সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর থেকে ক্রমশ উপকুলমুখী হয়েছে সেই নিম্নচাপ। দক্ষিণবঙ্গের স্থলভাগের দিকে সরে যাচ্ছে সেই নিম্নচাপ। যার প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই শুরু হয়েছে বৃষ্টি।

এই নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ৪৮ ঘন্টা দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, সুন্দরবন লাগােয়া একাধিক ব্লকে বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দীঘার মােহনা সংলগ্ন এলাকায়। দুই মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় লাল সতর্কতা জারি হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধে থেকে উত্তর চব্বিশ পরগণা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। এছাড়া কলকাতা, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় হলুদ অতি ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতার পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর দিয়ে এই নিম্নচাপ পশ্চিমবঙ্গ হয়ে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করবে। তবে আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার থেকে আকাশ পরিষ্কার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে প্রশাসনিক তরফে দুই চব্বিশ পরগণা এবং মেদিনীপুরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উপকূলের ব্লকগুলিতে কন্ট্রোল খােল হয়েছে। নবান্নেও চব্বিশ ঘন্টার কন্ট্রোল রুম। বুধবার পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। জরুরিকালীন অবস্থার জন্য নামানাে হয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মােকাবিলা দলকে।

ভারী এবং অতিভারী বৃষ্টির জেরে কলকাতা এবং লাগােয়া জেলায় নিচু এলাকায় জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝােড়াে হাওয়াসহ বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

বলা হয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুরে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ এমনকী ঘন্টায় ষাট কিলােমিটার বেগে ঝােড়াে হাওয়া বইবে। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, উত্তর চৰ্বিশ পরগণায় তিরিশ থেকে চল্লিশ কিলােমিটার বেগে এবং সর্বোচ্চ পঞ্চাশ কিলােমিটার বেগে ঝােড়াে হাওয়া বইবে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় গুলাবের রেশ কাটতে না কাটতেই পশ্চিম উপকূলে ঘূর্ণিঝড় শাহিনের পূর্বাভাস দিল মৌসম ভবন। ঘূর্ণিঝড় গুলাব ওড়িশার কয়েকটি জায়গায় ও অন্ধ্রপ্রদেশে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।

মৌসম ভবনের তরফে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পশ্চিম উপকূলে আরও একটা ঘূর্ণিঝড় আসতে চলেছে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় গুলাবের কারণে তৈরি হওয়া বায়ুক্তর ওই অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড় শাহিনকে পথ করে দেবে।

মৌসম ভবনের রফে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, পশ্চিম উপকূল সংলগ্ন জায়গাগুলােতে মধ্যম মানের বৃষ্টিপাত হলেও কোঙ্কন, গােয়া, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ও গুজরাতের বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় ভারী বর্ষণ হবে। উত্তর তেলেঙ্গানা, দক্ষিণ ছত্তিশগড় ও বির্দভের মাঝখানের অঞ্চলের ওপর তৈরি হওয়া ঝঞ্জা প্রতি ঘন্টায় ১৩ কিলােমিটার বেগে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে বয়ে চলেছে।

গত ছ’ঘন্টা ধরে বায়ুর গতি দেখে ধরে নেওয়া যেতে আগামি ১২ ঘন্টায় ওয়েল মার্কড লাে প্রেসার এলাকায় বায়ুর গতি শক্তি হারাবে। কিন্তু ফের ৩০ সেপ্টেম্বর আরব সাগর ও গুজরাতের মধ্যবর্তী এলাকায় ফের শক্তি সঞ্চয় করতে পারে।