• facebook
  • twitter
Monday, 25 November, 2024

মুসলিম ঘৃণায় রেকর্ড গড়েছে বিজেপি রাজ্যে, জানাল মার্কিন রিপোর্ট

দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি– বিরোধীরা বহুবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে এসেছে৷ তারা বলে এসেছে ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর শারীরিক ও মানসিক আক্রমণের ঘটনা বিগত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে৷ সংখ্যালঘুদের মধ্যে আবার মুসলিমরা বেশি আক্রান্ত৷ এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’৷ সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা,

দিল্লি, ২৬ ফেব্রুয়ারি– বিরোধীরা বহুবার বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতি করার অভিযোগ তুলে এসেছে৷ তারা বলে এসেছে ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর শারীরিক ও মানসিক আক্রমণের ঘটনা বিগত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে৷ সংখ্যালঘুদের মধ্যে আবার মুসলিমরা বেশি আক্রান্ত৷ এবার বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই মান্যতা দিল মার্কিন গবেষণা সংস্থা ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’৷ সোমবার প্রকাশিত রিপোর্টে জানিয়েছে, মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, বিদ্বেষ প্রকাশের ঘটনায় ভারত বিগত বছরের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে৷ শুধু দাবি নয়, ২০২৩-এ ৬৬৮টি ঘটনা নথিভুক্ত করে ওই সংস্থা দাবি করেছে, অতীতে কখনও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি ভারতে৷

জাতি বিদ্বেষের ঘটনা এইভাবে এই অভাবনীয় বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধকে উল্লেখ করেছে ওই সংস্থা৷ পরিসংখ্যানেও তার ইঙ্গিত আছে৷ ৬৬৮টি ঘটনার মধ্যে ২০২৩-এর প্রথম ছয় মাসে ২৫৫টি ঘটে৷ পরের ছয় মাসে ৪১৩টি, অর্থাৎ ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধ শুরুর পর৷ ওই যুদ্ধ শুরু হয় গত বছর ৭ অক্টোবর৷

ওই যুদ্ধ শুরুর গোড়ায় ইজরায়েলের পক্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ বিরোধীরা প্যালেস্তাইনের মুক্তি সংগ্রামে ভারতের দীর্ঘদিনের সমর্থন এবং সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হলে মোদী পরবর্তীকালে অবস্থান খানিক পরিবর্তন করেন৷ আক্রান্ত গাজা ভুখণ্ডে ত্রাণ সামগ্রী পাঠানোর পাশাপাশি তিনি প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দু-দফায় কথা বলেন৷ আক্রমণ বন্ধ করতে ইজরায়েলের প্রতিও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী৷

ওই যুদ্ধ নিয়ে ঘরোয়া রাজনীতির বিতর্কের প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় সমাজেও যা সামাজিক মাধ্যমে ধরা পডে়৷ মার্কিন সংস্থাটি জানিয়ে বিদ্বেষ পোষণের ঘটনায় এগিয়ে ছিল বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি৷ ওই সব রাজ্যেই ঘটেছে ৭৫ শতাংশ ঘটনা৷ উল্লেখযোগ্য রাজ্যগুলি হল, মহারাষ্ট্র, উত্তর প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশ৷

মার্কিন সংস্থা ‘ইন্ডিয়া হেট ল্যাব’ ভারতে হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলির কাজকর্মের উপর সারা বছর তীক্ষ্ণ নজরদারী চালায়৷ তারা বলেছে, রাষ্ট্রসংঘের সংজ্ঞা মেনে তারা বিদ্বেষমূলক ভাষণগুলি চিহ্নিত করেছে৷ রিপোর্টে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের ধারণার পরিপন্থী হলে উল্লেখ করা হয়েছে৷