• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

হিমাচলে স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছেন বিদ্রোহী কং বিধায়ক

সিমলা, ২ মার্চ: স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন হিমাচল বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক রাজিন্দর রানা। যিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস-ভোটিংয়ের পরে স্পিকার কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত হওয়া ছয়জন আইনপ্রণেতাদের মধ্যে একজন। তিনি শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুকে নিন্দা জানিয়ে বলেন, পরবর্তীরা নিম্ন স্তরের রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন। রানা বলেন, তাঁকে এবং অন্য পাঁচ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা

সিমলা, ২ মার্চ: স্পিকারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন হিমাচল বিধানসভার কংগ্রেস বিধায়ক রাজিন্দর রানা। যিনি রাজ্যসভা নির্বাচনে ক্রস-ভোটিংয়ের পরে স্পিকার কর্তৃক অযোগ্য ঘোষিত হওয়া ছয়জন আইনপ্রণেতাদের মধ্যে একজন। তিনি শনিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখুকে নিন্দা জানিয়ে বলেন, পরবর্তীরা নিম্ন স্তরের রাজনীতির আশ্রয় নিয়েছেন।

রানা বলেন, তাঁকে এবং অন্য পাঁচ বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করার সিদ্ধান্তটি স্পিকার চাপের মুখে নিয়েছেন। আইনকে আমলে না দিয়ে নেওয়া হয়েছে এই সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, “আমরা শীঘ্রই আদালতে যাব। স্পিকারের এই অযোগ্যতা সম্পূর্ণ চাপের মধ্যেই করা হয়েছে। আইনটি আমল দেওয়া হয়নি। পুলিশ সেই বিধায়কদের বিরুদ্ধে জারি করা শুরু করেছে। যারা ক্রস ভোট দিয়েছে। আমরা এই রাজ্যের আত্মসম্মান রক্ষা করব।”

প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার হিমাচল প্রদেশের রাজ্যসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজনের পক্ষে ক্রস ভোট দেওয়া কংগ্রেসের ছয় বিদ্রোহী বিধায়কদের মধ্যে রাজিন্দর রানা ছিলেন অন্যতম। তাঁদের বিদ্রোহের ফলে কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক মনু সিংভির অপমানজনক পরাজয় হয়। ফলে ক্ষমতাসীনদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যের একমাত্র রাজ্যসভা আসনটি সহজেই জয়লাভ করে গেরুয়া শিবির। এর ফলে হিমাচল প্রদেশে সরকারকে একটি গুরুতর রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়। এবং সুখু সরকারকে পতনের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসে। বিধায়কদের বিদ্রোহের জন্য ছয় বিধায়ককে অযোগ্য ঘোষণা করেন হিমাচল স্পিকার কুলদীপ সিং পাঠানিয়া।

স্পিকার বলেন, “ছয়জন বিধায়ক, যাঁরা কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নিজেদের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনের বিধানগুলিকে আকর্ষণ করেন। আমি ঘোষণা করছি যে, ছয় জন বিধায়ক অবিলম্বে হিমাচল প্রদেশ বিধানসভার সদস্য পদ খারিজ করা হচ্ছে।”

তিনি সেদিন আরও বলেন, কংগ্রেসের ছয়জন বিধায়ক – রাজিন্দর রানা, সুধীর শর্মা, রবি ঠাকুর, ইন্দর দত্ত লাখনপাল, চেতন্য শর্মা এবং দিবেন্দর কুমার (ভুট্টো) – যাঁরা আর্থিক বিলে সরকারের পক্ষে ভোট না দিয়ে দলীয় হুইপ অমান্য করেছেন।