• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

কেন্দ্রকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ দিচ্ছে আরবিআই

গত বছর ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এবার তার তিনভাগের একভাগ লভ্যাংশ কেন্দ্রকে দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)।

আরবিআই (File Photo: AFP)

গত বছর ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল। এবার তার তিনভাগের একভাগ লভ্যাংশ কেন্দ্রকে দিচ্ছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই)। শুক্রবার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে আরবিআই বোর্ডের বৈঠক বসে।

সেই বৈঠকেই কেন্দ্রীয় সরকারকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা লভ্যাংশ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, করোনা সংক্রমণ ও লকডাউনের জেরে রাজকোষ বেহাল। এই পরিস্থিতিতে এই টাকা কেন্দ্র পেলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কিছুটা হলেও সহজ হবে।

জুলাই থেকে জুন আরবিআইয়ের আর্থিক বছরের হিসেব হয়। জুনে শেষ হওয়া ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রকে ৫৭ হাজার ১২৮ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসেবে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আরবিআইয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এমনটাই জানানো হয়েছে।

২০-২১ আর্থিক বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সরকারি ব্যাঙ্কের লাভ থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা ডিভিডেন্ড পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে পাওয়া অর্থেই সেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌছে গেল কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গত বছর আরবিআই কেন্দ্রকে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকা দিয়েছিল লভ্যাংশ হিসেবে।

আয়ের একটা অংশ কেন্দ্রের তহবিলে জমা দেওয়ার জন্য ২০১৪ সাল থেকেই রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ওপর চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই চাপ শুরু হয়। এই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এই পদ থেকে সরে যান স্বেচ্ছায়। দ্বিতীয় বারের মেয়াদে তিনি আর গভর্নর পদে থাকতে চাননি বলেই সেই সময় জানা গিয়েছিল।

এরপর গভর্নর হন উর্জিত প্যাটেল। তার সঙ্গেও সরকারের টানাপোড়েনের জেরে তিনিও মেয়াদ শেষের আগেই ইস্তফা দেন।অর্থনীতিবিদদের সিংহভাগের বক্তব্য ছিল, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের টাকা যদি সরকার নিয়ে নেয়, তাহলে আগামীতে বিপর্যয় মোকাবিলা করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

২০১৮ সালের আরবিআইয়ের প্রাক্তন গভর্নর মিল জালানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটি সুপারিশ করে আরবিআইকে লাভের অংশ কেন্দ্রকে দেওয়ার। তবে, কমিটির সুপারিশ ছিল ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি তৈরি না হলে কোনও লভ্যাংশ সরকারকে দিতে পারবে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

এদিন আরবিআই জানিয়েছে, সেই সুপারিশ মেনেই করোনা আবহে রাজকোষের হাল খারাপ হলেও অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ কেন্দ্রকে দেওয়া হয়নি। কারণ, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে সরকারের যে অর্থবর্ষ তা মিলছে না। ফলে অনেক জটিলতার সৃষ্টি হয়েছিল।

আরবিআইয়ের বৈঠকে এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সরকারি অর্থবর্ষ এবং আরবিআইয়ের অর্থবর্ষ এবার থেকে এক করে ফেলা হবে। আরবিআইয়ের অর্থবর্ষ জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত। এবার এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসছে। আরবিআইয়ের অর্থবর্ষ শুরু হবে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে।