আরবিআই-র কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে ফোন

মাসখানেক ধরেই দেশের শয়ে শয়ে বিমান উড়িয়ে দেওয়ার হুমমি দিয়ে ভুয়ো ফোন আসছে। যদিও প্রতি ক্ষেত্রেই পুলিশি তদন্তে সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। আর এবার হুমকি ফোন পেল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। রবিবার সকালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মুম্বই শাখার কাস্টমার কেয়ারে একটি হুমকি ফোন আসে। অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক নিজেকে লস্কর-ই-তৈবার সিইও বলে পরিচয় দিয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

রবিবার সকাল ১০টার দিকে এই উড়ো ফোন আসে। এই হুমকির পর মুম্বইয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি শুরু হয়। যদিও কিছুক্ষণ পরই পুলিশ জানিয়ে দেয়, এটি ভুয়ো হুমকি। কোনও সারবত্তা নেই।আরবিআইয়ের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে পাওয়া এই হুমকির বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিরাপত্তারক্ষীরা অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে মাতা রমাবাই রোড থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশের সন্দেহ, মজা করতেই কোনও ব্যক্তি এই হুমকি দিয়েছে। তবে পুলিশ এটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে। যে ব্যক্তি ফোন করেছিল এবং লস্কর-ই-তৈবার সিইও বলে দাবি করেছিলেন, তাঁর সন্ধান শুরু করেছেন তদন্তকারীরা। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্কে এই ধরনের হুমকিমূলক ফোন নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহু বার এ জাতীয় হুমকি পেয়েছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, যে ব্যক্তি কাস্টমার কেয়ার নম্বরে হুমকি ফোন করেছিলেন, তিনি প্রথমে নিজেকে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি হিসেবে বর্ণনা দিলেও পরে তার আশপাশ থেকে গানের আওয়াজও শোনা গিয়েছিল। সেই কারণে পুলিশ সন্দেহ, কেউ মজা করে এই কল করেছে।


ফোনে দাবি করা হয়, বান্দ্রার কাছে আরবিআইয়ের যে দপ্তর আছে, সেখানে বোমা রাখা আছে। যদিও এখন পর্যন্ত কোন সন্দেহ জনক কিছু উদ্ধার হয়নি বলে খবর। এই হুমকি ফোনের পিছনে কারা যুক্ত রয়েছেন, তা জানতে মুম্বই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। সম্প্রতি বিমানবন্দর, বিমান, স্কুলগুলিতে ভুয়ো হুমকি ফোনের যে ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, এই ঘটনাও তার সঙ্গে সংযুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

গত দু’মাসে ভুয়ো হুমকি ফোনের জেরে হাজার হাজার বিমান বাতিল হয়েছে। তার পর থেকে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার। ভুয়ো কল সংক্রান্ত সমস্ত মামলার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বোমা হুমকির কারণে রায়পুরে জরুরি অবতরণ করে কলকাতাগামী ইন্ডিগোর একটি বিমান। তবে গোটা বিমান তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি। সম্প্রতি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, এই সকল হুমকি শুধুমাত্র নাগরিক জীবনকে প্রভাবিক করে না, তাই-ই নয়, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে।