মহা ষষ্ঠীর রাতেই প্রয়াত রতন টাটা

মহা ষষ্ঠীর রাতেই দেশজুড়ে বিষাদের সুর। প্রয়াত হলেন টাটা গ্রুপের কর্ণধার ও ভারতের ব্যবসায়ী মহলের আইকন রতন টাটা। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়ার পর তাঁকে ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশেষে বুধবার রাতেই তিনি অমৃত লোকের উদ্দেশে যাত্রা করলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তাঁর প্রয়াণে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তাঁর প্রয়াণের খবর দিয়ে টাটা গ্রুপ এক্স বার্তায় জানিয়েছে, ‘এটি একটি বড় ক্ষতি। তা সত্ত্বেও আমরা রতন নেভাল টাটাকে বিদায় জানাই। যিনি একজন প্রকৃত নেতা ছিলেন। যাঁর অপরিমেয় অবদান শুধুমাত্র টাটা গ্রুপকেই নয়, সেই সঙ্গে আমাদের দেশকেও সমৃদ্ধ করেছে।’

রতন টাটার শরীরের সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে চিকিৎসা করা হয়। তাঁর চলে যাওয়া টাটা গ্রুপ এবং গোটা জাতির কাছে একটি যুগের সমাপ্তি। গত ৭ অক্টোবর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি নিয়ে যাতে গুজব না ছড়ায়, সেজন্য টাটার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, বয়সজনিত সমস্যার কারণে চিকিৎসা চলছে। এবং এটা একটা স্বাভাবিক চেক আপ। তিনি মানুষকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি আত্মিকভাবে ভালোই আছেন।


রতন টাটার এক্স হ্যান্ডেলে একটি বিবৃতি জারি করে লেখা হয়, ‘আমার স্বাস্থ্য নিয়ে যে গুজব ছড়াচ্ছে, সে বিষয়ে আমি সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। এবং আমি প্রত্যেককে নিশ্চিত করে বলছি যে, এই ধরণের কোনও ঘটনা ঘটেনি। আমি বর্তমানে বার্ধক্যজনিত কারণে মেডিক্যাল চেক আপের মধ্যে আছি। আমি মনের দিক থেকেও যথেষ্ট ভালো আছি। আমি জন সাধারণ এবং সংবাদ মাধ্যমকে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।’ কিন্তু, রতন টাটার এই আস্থা সত্ত্বেও তাঁর স্বাস্থ্য আরও খারাপ হয়। এমনকি তাঁকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে রাখা হয়।

উল্লেখ্য, রতন টাটা ১৯৯১ সালে টাটা গ্রুপের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। এবং তাঁর কোম্পানিকে একটি আন্তর্জাতিক পাওয়ার হাউসে পরিণত করেছিলেন।রতন টাটা জন্মগ্রহণ করেন ১৯৩৭ সালের ২৮ নভেম্বর। তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্য ও প্রকৌশল বিদ্যায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি টাটা গ্রুপে জয়েন করার পর সফলতার সঙ্গে কোম্পানির বিভিন্ন দায়িত্ব সামলেছেন। এরপর ১৯৯১ সালে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি বিভিন্ন পদে কাজ করেছিলেন।