উত্তরপ্রদেশের সাম্ভাল জেলায় এক কিশােরীকে ধর্ষণ করে জ্বালিয়ে দিয়েছিল প্রতিবেশী। পুড়ে গিয়েছিল শরীরের ৮০ শতাংশ। আশঙ্কানজক অবস্থায় মেয়েটিকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করানাে হয়। তবে শেষ রক্ষা হল না। ৯-দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর শেষ পর্যন্ত হার মানলাে সে। শনিবার সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে।
গত ২১ নভেম্বর সাম্ভালের নাখাসা থানা অন্তভুক্ত এলাকায় ঘটে এই নৃশংস অপরাধের ঘটনা। এএসপি জয়সওয়াল জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ৩০-বছরের জিশানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এএসপি জানিয়েছেন, মা ও বােনের সঙ্গে থাকত মেয়েটি। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা গেছেন। ঐ এলাকাতেই থাকত জিশান। মা ও বােন ওষুধ কিনতে বাজারে যাওয়ায় মেয়েটি একাই বাড়িতে ছিল। সেই সুযােগে দরজা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়ে জিশান।
পুলিশকে মা জানিয়েছেন, বাড়ি ফিরে দেখেন জিশান তার মেয়েকে ধর্ষণ করছে। মেয়েটির মা চিৎকার করে ওঠেন। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন তখনই ক্ষেপে গিয়ে একটি কেরােসিনের জার থেকে মেয়েটির গায়ে পুরােটা কেরােসিন ঢেলে দেয় জিশান। তারপরই আগুন ধরিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়।
এই মামলা ফর্স্ট ট্র্যাক কোর্টে তােলা হবে। যত শীঘ্র সম্ভব অপরাধীর কড়া সাজার চেষ্টা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে মৃতার পরিবারকে।
হায়দরাবাদেও সরকারি হালপাতালের পশু চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয় ধর্ষকরা। এই ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। দোষীদের চরম শাস্তির দাবিতে সােচ্চার হয়েছেন অনেকেই। মৃত পশু চিকিৎকের অসহায় মা আবার ধর্ষকদের পুড়িয়ে মারার দাবি জানিয়েছেন। এবার অপরাধীদের প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়ার দাবি জানালেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও।