• facebook
  • twitter
Saturday, 23 November, 2024

রাতভর ধর্ষণ নাবালিকাকে, সারা শরীর পোড়ানো হল সিগারেটের ছ্যাকায়

হাপুর, লখিমপুরের পর এবার গোরক্ষপুর। ফের ধর্ষিত হতে হল এক নাবালিকাকে। নৃশংস নির্যাতনের সাক্ষী রইলো যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য।

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

হাপুর, লখিমপুরের পর এবার গোরক্ষপুর। ফের ধর্ষিত হতে হল এক নাবালিকাকে। নৃশংস নির্যাতনের সাক্ষী রইলো যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য। ইটভাটার পাশ থেকে যখন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়, তখন তার সারা শরীর রক্তে মাখামাখি। চামড়া পুড়ে জদগদগে ক্ষত হয়ে আছে। রক্ত জমে সারা শরীরে কালশিটের দাগ।

নাবালিকাকে এমন অবস্থায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে শিউড়ে ওঠেন পুলিশকর্তারাও। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলে। ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনা গোরক্ষপুরের নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, গত শুক্রবার থেকে নিখোঁজ ছিল মেয়েটি। বাড়ির সামনের কল থেকে জল ভরতে গিয়েছিল সে। আর ফিরে আসেনি। সারা গ্রাম খুঁজেও মেয়ের সন্ধান না পেয়ে নিখোঁজ ডায়রি করে পরিবার। পুলিশ আধিকারিক বিপুল শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ গ্রামের বাইরে একটি ইটভাটার কাছে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়।

গোরক্ষপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে মেয়েটির। ডাক্তাররা জানিয়েছেন মেয়েটির ওপর নারকীয় নির্যাতন চালানো হয়েছে। মারধরের চিহ্নও পাওয়া গিয়েছে। ধর্ষণের পর সিগারেটের ছ্যাকা দিয়ে সারা শরীর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দগদগে ঘা হয়ে গিয়েছে চামড়ায়। মেয়েটির অবস্থা সঙ্কটজনক।

জ্ঞান ফিরতেই মেয়েটি পুলিশকে জানিয়েছে, বাড়ির সামনে থেকে দু’জন তুলে নিয়ে যায় তাকে। সারারাত তাকে মারধর করে নির্যাতন চালায়। সে কান্নাকাটি করলে মুখ বন্ধ রাখতে বলে। তারপর সিগারেটের ছ্যাকা দিতে থাকে সারা শরীরে। বলেছেন নির্যাতিতার বাবা।

পুলিশ জানিয়েছে নাবালিকা ও তার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাকড়াও করা হয়েছে দু’জনকে। পুলিশের দাবি, ধৃতদের একজনের নাম অর্জুন। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। নির্যাতিতা মেয়েটির পরিবার এর নামেই অভিযোগ দায়ের করেছে। অর্জুনকে জেরা করে ছোটু নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই দু’জনকেই আদালতে তোলা হবে।