আয়ুর্বেদিক চিকিৎসার জন্য ৭ দিনের প্যারোল ধর্ষণে দোষী আসারাম বাপুর

ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত স্বঘোষিত গডম্যান আসারাম বাপুকে সাত দিনের প্যারোলে মুক্তি দিল যোধপুর হাইকোর্ট। মহারাষ্ট্রে তার আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা চলছে। সেই কারণেই আসারামকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে ২০১৮ সালে নিম্ন আদালত আসারামের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। পকসো আইন এবং অন্যান্য অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল আসারাম। আপাতত যোধপুর জেলে রয়েছে আসারাম।

মঙ্গলবার বিচারপতি পুষ্পেন্দ্র সিং ভাটির ডিভিশন বেঞ্চ আসারামকে ৭ দিনের প্যারোল দিয়েছে। দিন কয়েক আগেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আসারাম। এরপর তাকে যোধপুর এইমসে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার কথা চিন্তা করেই তাকে প্যারোল দেওয়া হয়েছে।


পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসার জন্য আসারাম বাপুকে মহারাষ্ট্রের খোপোলির মাধববাগ আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।

এর আগে পুলিশ হেফাজতে যোধপুরের একটি বেসরকারি আয়ুর্বেদিক হাসপাতালে চিকিৎসার অনুমতি পেয়েছিল আসারাম। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে যোধপুর এইমসে ভর্তি করা হয়।

সাজা কমানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল আসারাম। চলতি বছরের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট আসারামের সাজা কমানোর আবেদন খারিজ করে দেয়। বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ আবেদনকারীকে পুলিশি হেফাজতে মাধববাগ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রাজস্থান হাইকোর্টে নতুন করে আবেদন করার অনুমতি দেয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ জানুয়ারি রাজস্থান হাইকোর্ট আসারামের চতুর্থ সাজা স্থগিত বা জামিনের আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল। আসারামের যুক্তি ছিল, তাকে নিজের পছন্দের চিকিৎসা করতে না দিলে আইনশৃঙ্খলার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

২০১৮ সালের ২৫ এপ্রিল যোধপুরের বিশেষ পকসো আদালত আসারামকে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে। তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ২ সেপ্টেম্বর থেকে আসারাম জেলে আছে। নির্যাতিতা আসারামের বিরুদ্ধে আশ্রমে চত্বরে তাকে লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ করেছিল।