অযোধ্যা, ২২ জানুয়ারি– অবশেষে সেই সন্ধিক্ষণ এসে হাজির হল বা বলা ভালো সম্পন্ন হল যা নিয়ে গত ৫ বছর অপেক্ষা করেছে গোটা ভারতবর্ষ৷ ৯ নভেম্বর ২০১৯ যেদিন সুপ্রিম কোর্টের ৫ বিচারপতির বেঞ্চ রামমন্দিরের জন্য বোর্ড গঠন করে মন্দির তৈরির পক্ষে রায়দান করেন সেদিনই অবশ্য পরোক্ষভাবে এই রামমন্দিরের ভিত তৈরি হয়ে যায়৷ ২২ জানুয়ারি সোমবার সেই বিশাল কর্মকাণ্ডের সমাপন ঘটল অযোধ্যায়৷ পূর্ব নির্ধারিত সময়েই এদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হল রামলালার৷
সমস্ত কর্মকাণ্ডের মধ্যমণি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ কাশীর পণ্ডিত গণেশ্বর শাস্ত্রী জানিয়েছিলেন, দুপুর ১২টা ২৯ মিনিট ৪ সেকেন্ড থেকে ১২টা ৩০ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত অভিজিৎ মুহূর্ত৷ সেই ৮৪ সেকেন্ড সময়ের মধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলতে হবে৷ তাই মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মুখ্য যজমানিতে গোটা দেশকে সাক্ষী রেখে ওই সময়ের মধ্যেই প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়ে গেল অযোধ্যায় নতুন রাম লালা বিগ্রহের৷ যদিও নতুন বিগ্রহের পুজোর আগে এদিন রাম লালার আসল মূর্তি পিতলের বিগ্রহকে পুজো করা হয়৷ নতুন পোশাক সঙ্গে সোনার মুকুট পরিহিত সেই রামলালার নতুন মন্দিরে তাঁর আসন সাজানো হয়েছে সোনালি মোড়কে৷ তার উপর হলুদ গাঁদা ও গোলাপ দিয়ে সাজানো হয়েছে৷ মূল বিগ্রহ পুজোর পরই কষ্টি পাথরের তৈরি নতুন বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা শুরু হয়৷
এদিন প্রধানমন্ত্রীর পাশেই বাঁ দিকে বসে পুজো দিচ্ছিলেন সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল আনন্দিবেন প্যাটেল৷ মূল বিগ্রহকে সাজানো হয়েছে সোনার গয়না ও ফুল দিয়ে৷ এদিন সকাল পর্যন্ত বিগ্রহের চোখ সোনালি হলুদ কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল৷ পুজো শুরু হতেই তা খুলে দেওয়া হয়৷ বিগ্রহকে প্রতীকী স্নান করানোর পর, তারপর চক্ষুদানের মাধ্যমে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয় ভগবান রামের নতুন বিগ্রহের৷ শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ট্রাস্টের মহাসচিব চম্পত রায় যেমনটা জানিয়েছিলে ঠিক তেমনই প্রাণ প্রতিষ্ঠার সমগ্র পুজো দুপুর ১টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়৷
পুজো শেষ হতেই জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সঙ্গে ছায়াসঙ্গীর মতো ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত৷ শেষে আশীর্ব্বাদ দেবেন ট্রাস্টের অধ্যক্ষ মহন্ত নিত্যগোপাল দাস৷ সন্ধেয় শুরু হয় দীপাবলী৷ ‘রাম জ্যোতি’ জ্বালিয়ে সোমবার আরও একবার অযোধ্যায় দীপাবলী দেখল গোটা ভারত৷ সব বাডি়, দোকান, সরযূর তীর সাজানো হয় প্রদীপ দিয়ে৷